আহমেদাবাদ: কয়েকদিন আগেই প্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেস ত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন গুজরাটের পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। এবার দলত্যাগী কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হার্দিক প্যাটেলকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী (Jignesh Mevani)। ‘কুরুচিকর মন্তব্য’-র জন্য হার্দিককে নিশানা করেন এই নির্দল বিধায়ক। সম্প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে হার্দিকের ‘চিকেন স্যান্ডউইচ’ মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। গুজরাটের রাজনীতিতে জিগ্নেশ-হার্দিক বন্ধুত্বের কথা কারোরই অজানা নয়। এমনকী তারা একসঙ্গে আন্দোলনেও অংশ নিয়েছিলেন। শুক্রবার আহমেদাবাদের রাজীব গান্ধী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন এই সতীর্থকে নিশানা করে জিগ্নেশ বলেন, “বিক্ষোভ আন্দোলন থেকে আমরা বন্ধু। দল ছাড়া আগে তিনি আদর্শগত ফারাকটা বুঝিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু সে যেভাবে সিনিয়র নেতৃত্বের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে এবং তাদের অপমান করা চেষ্টা করেছে, তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। হার্দিক বলেছেন, কংগ্রেস গুজরাটিদের ঘৃণা করে। কিন্তু সত্যিটা হল দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিরোধী দলে থেকেও কংগ্রেসের প্রত্যেক কর্মী কংগ্রেসকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং গুজরাটের অগ্রগতির কারণে জীবনের বাজি রাখতেও পিছপা হয়নি।”
বুধবারই সনিয়া গান্ধীর উদ্দেশে লেখা নিজের পদত্যাগ পত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলেন হার্দিক প্যাটেল। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, যে কংগ্রেস গুজরাট ও গুজরাটিদের ঘৃণা করে। হার্দিকের অভিযোগ ছিল, দল যখন অস্তিত্ব সঙ্কটে, তখন দলের নেতারা বিদেশে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। কংগ্রেস নেতৃত্ব সাংগঠিক কাদের থেকে ‘চিকেন স্যান্ডউইচ’ নিয়ে বেশি আগ্রহী বলেই মন্তব্য করেছিলেন এই পাতিদার নেতা। মেবাণীর অভিযোগ রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে ইঙ্গিত করে ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ করেছিলেন হার্দিক।
জিগ্নেশ বলেন, “আপনার সঙ্গে কংগ্রেসের মতামতের পার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু তার মানে এটা নয় আপনি সেই দলকে দেশ বিরোধী বা গুজরাট বিরোধী বলবেন। কেন আপনি পদত্যাগের সময় চিকেন স্যান্ডউইচের কথা উল্লেখ করেছেন? রাহুল গান্ধী আপনাকে ভালবাসত, কিন্তু আপনি তাঁকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। অনেক কংগ্রেস নেতাই রাহুল গান্ধী অবধি পৌঁছতে পারেন না, কিন্তু আপনি সেই সুযোগ পেয়েছিলেন। আপানাকে দল অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। ২৬-২৭ বছর বয়সে কার্যকরী সভাপতি করেছে, আপনার নাম তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিল, আপনাকে অন্য রাজ্যে দলীয় কাজে পাঠানো হয়েছে। আপনার দু-একটি দাবি পূরণ হয়নি বলেই আপনি দল ছেড়ে দিলেন?” প্রসঙ্গত, গুজরাটের রাজনীতিতে জল্পনা রয়েছে কংগ্রেস ত্যাগের পর হার্দিক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। হার্দিককে দলে নিয়ে বিজেপি কতটা লাভবান হয়, সেটাই এখন দেখার।