নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টে ফাঁস হবে দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারির সত্যি! জানা যাবে, এই কেলেঙ্কারির অর্থ কোথায় কোথায় গিয়েছে। আর এই ফাঁস করার কাজটা করবেন এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বুধবার (২৭ মার্চ) এমনটাই জানিয়েছেন, অরবিন্দ কেজরীবালের স্ত্রী সুনিতা কেজরীবাল। সুনিতা কেজরীবাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা আপ প্রধানের। আর তখনই এই মামলার সব তথ্য ফাঁস করবেন তিনি। শুধু তথ্য় দেওয়া নয়, তাঁর স্বামী আদালতে এই বিষয়ে প্রমাণও দেবেন। এদিন অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান সুনিতা। প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আপাতত তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতেই আছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সুনিতা কেজরীবাল দাবি করেছেন, ২১ তারিখ তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইডি মাত্র ৭৩,০০০ টাকা পেয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মদ কেলেঙ্কারির অভিযোগে, ২৫০ টিরও বেশি জায়গায় অর্থের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে ইডি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তারা কিছুই খুঁজে পায়নি। অরবিন্দ কেজরীবালকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, নির্ভীক এবং সাহসী ব্যক্তি বলে দাবি করে তাঁর দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করেন তাঁর স্ত্রী। সুনিতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা কি দিল্লিকে ধ্বংস করতে চায়? তারা কি চায় দিল্লির জনগণ কষ্টে থাকুক? অরবিন্দ কেজরীবাল এতে খুবই কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি শারীরিকভাবে জেলে থাকলেও তাঁর মন মানুষের মধ্যে পড়ে রয়েছে।”
সুনিতা কেজরীবালের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “যখন লালুপ্রসাদ যাদব পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছিলেন, তখন প্রথমে রাবড়ি দেবী তাঁর হয়ে বিভিন্ন ঘোষণা করতেন। তারপর তিনি ধীরে ধীরে চেয়ারে বসেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। আপ প্রধান আগে নৈতিকতার কথা বলতেন, কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনশন করেছিলেন। তিনিই এখন দুর্নীতির জলে ডুবে রয়েছেন। আপের সাংসদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং তাদের এমএলসি – সবাই জেলে। তাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং মদ কেলেঙ্কারির মূল হোতাও এখন জেলে। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা তাঁর এতই পছন্দের, যে, তিনি জেলে গিয়েও তা ছাড়তে পারছেন না। অরবিন্দ কেজরীবাল কট্টর বেইমান।”