নয়াদিল্লি: বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ভাগ্য নির্ধারণ ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মীর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে যায় এই ছাব্বিশ হাজারের। ২০১৬ এসএলএসটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয় সম্পূর্ণ প্যানেল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। আজ সেই মামলার শুনানি। কী হবে আজ ? সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগ বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। যায় উচ্চ-আদালতে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-এসএসসিও এই মামলার পার্টি। মামলার পার্টি আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছে সব পক্ষ।
এর আগে মামলাটি শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ফলত, আজ সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে। এ দিকে ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হবে নাকি অন্য কোনও রায় দেবে শীর্ষ আদালত? এ দিকে, আন্দোলনরত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমরা জানি এগ্রিকেশন লিস্ট সাবমিটেড। এসএসসিও দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের উপর আস্থা রয়েছে আমাদের। বিচার ব্যবস্থার প্রতিও আস্থা আছ।”