নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সদস্য মহম্মদ আসফাক আরিফের মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বহাল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India)। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লির লাল কেল্লার (Red Fort, New Delhi) সেনা ব্যারাকে আক্রমণের ঘটনায় তাঁকে আগেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল আরিফ। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদী মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বহাল করেছে।
২০০০ সালে সেনা ব্যারাকে আক্রমণের ঘটনায় পাকিস্তানি নাগরিককে মূলচক্রী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে দিল্লির একটি আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। ২০০৭ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করে এবং ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। ২০১৪ সালে আরও একবার আরিফের রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট আরিফকে আরও একবার নিজের জীবনের জন্য লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আদালত। এর আগে আদালতে শুনানি ছাড়াই আরিফের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।
২০০০ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির লাল কেল্লার সেনা ছাউনিতে জঙ্গি আক্রমণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় সস্ত্রীক আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার চারদিন পরের আরিফ ও তাঁর স্ত্রী রেহমানা ইউসুফ ফারুকিকেস গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে অক্টোবরে আদালতে আরিফ সহ আরও ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অপরাধে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আরিফকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয় এবং বাকিদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।
বিচার প্রক্রিয়ার উঠে আসে ২০০০ সালে ২২ ডিসেম্বর রাতে লাল কেল্লায় দুই জঙ্গি প্রবেশ করে এবং সেখান থাকাল একটি সেনা ক্যাম্পের দুই সেনা জওয়ান এবং নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করে সেখান থেকে গা ঢাকা দেয়। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা গোটা হামলায় দায় স্বীকার করেছিল। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এই হামলার প্রভাব পড়েছিল।