‘আগে হলফনামা গ্রহণের আবেদন করুন হাইকোর্টে’, মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট

সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর হলফনামা জমা দেওয়ায় তা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

'আগে হলফনামা গ্রহণের আবেদন করুন হাইকোর্টে', মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট
অলংকরন: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 25, 2021 | 1:43 PM

নয়া দিল্লি: নারদে হলফনামা সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে বলল শীর্ষ আদালত। আজ, শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আগামী ২৯ জুন নারদ মামলার শুনানির আগেই সেই আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন গৃহীত হবে কি না, তা ঠিক করবে হাইকোর্ট।

নারদা মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেই বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। কিন্তু এই হলফনাআ গ্রহণ করা হয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলার শুনানিতে এ দিন বলা হয়, আবেদনের অগ্রিম কপি ২৮ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। এই মামলায় হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে ২৯ জুন। তার আগে হলফনামা নিয়ে আবেদন জানাতে হবে তাঁদের। এছাড়াও এই আবেদনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ তথা সিবিআই-কেও নোটিশও পাঠিয়ে দিতে হবে।

গত ৯ জুন এই মামলার শুনানি চলাকালীন হলফনামা জমা নেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেন মমতার আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। সওয়াল জবাব চলাকালীন তুষার মেহেতার সওয়ালের পর হলফনামা পেশ করে রাজ্য। তুষার মেহেতা তা খারিজের আবেদন জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে না। শুনানির প্রায় ১৫ দিনের শেষে ৯ জুন হলফনামা জমা দিতে গেলে তা খারিজ হয়ে যায়। তত দিনে শেষ হয়েছে সিবিআই-এর পক্ষের সওয়াল। তাই হাই কোর্টের বিচারপতিরা জানান, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ত্রিপল চুরি মামলায় আদালতের রক্ষাকবচ অধরা শুভেন্দু-সৌমেন্দুর

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাই কোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। কিন্তু ওই যুক্তি বিচারকরা গ্রহণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হলফনামা দিতে দেরি হওয়ায় হাইকোর্ট তাতে সাড়া দেয় না। এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ২৯ জুন হাইকোর্ট এই হলফনামার আবেদনের বিষয়ে প্রথমে সিদ্ধান্ত নেবে।