নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের গৃহীত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ (370 Article) বাতিলের সিদ্ধান্ত কী বৈধ? ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবে। শীর্ষ আদালতের রায়ের আগেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)।
চার বছর আগে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও, কেন্দ্রের যুক্তি ছিল এক দেশে দুই সংবিধান থাকতে পারে না। জম্মু-কাশ্মীরের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তকমা সাময়িক বলেই জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির বিরোধিতা করে এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। পিটিশনকারীদের দাবি ছিল, কেন্দ্রের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের কোনও অধিকার নেই। সমস্ত পিটিশনকে একত্রিত করেই শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সাংবিধানিক বেঞ্চে। গত ২ জুলাই থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়। ৫ সেপ্টেম্বর রায়দান স্থগিত রাখা হয়। আজ, ১১ ডিসেম্বর সেই রায়দান করবে শীর্ষ আদালত।
মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কার পরামর্শে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্র? জম্মু-কাশ্মীরের গণপরিষদ অবলুপ্ত হওয়ার পরে কীভাবে ৩৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধানের অংশ হল, সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। কেন্দ্রের তরফে জবাবে জানানো হয়েছিল, আইনি পরিকাঠামো মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির পর, সেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও হামলাও অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পর, বিগত ৪ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের বিপুল উন্নতি হয়েছে। শিক্ষা সহ বহু মৌলিক অধিকারও পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরা।
৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তি এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার, কেন্দ্রের সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল কি না, তা নিয়েই আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।