Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ মামলায় ইতি টানল সুপ্রিম কোর্ট, নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ মহিলা কুস্তিগীরদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 04, 2023 | 3:07 PM

Brij Bhushan case: : রেসলিং ফেডারেশন ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ৭ মহিলা কুস্তিগীরের করা যৌন হেনস্থার মামলার শুনানি বন্ধ করেদিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (৪ মে), প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। কাজেই কুস্তিগীররা যে আবেদন করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

Brij Bhushan: ব্রিজভূষণ মামলায় ইতি টানল সুপ্রিম কোর্ট, নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ মহিলা কুস্তিগীরদের
ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ৭ মহিলা কুস্তিগীরের করা যৌন হেনস্থার মামলার শুনানি বন্ধ করেদিল সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: রেসলিং ফেডারেশন ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ৭ মহিলা কুস্তিগীরের করা যৌন হেনস্থার মামলার শুনানি বন্ধ করেদিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (৪ মে), প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। কাজেই কুস্তিগীররা যে আবেদন করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তাই এই শুননি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর কোনও কারণ নেই। তবে, কুস্তিগীরদের আর কোনও দাবি থাকলে, তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বা দিল্লি হাইকোর্টে সেই আবেদন করতে পারেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা এই পর্যআয়ে মামলাটি বন্ধ করে দিচ্ছি। যদি আবেদনকারীদের অন্য কোনও দাবি থাকে, তারা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন।”

– এদিন আদালতে আবেদনকারীদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বা কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্বাবধানে দিল্লি পুলিশের তদন্ত পরিচালনার আবেদন করেছিলেন।

– সেই আবেদন মানেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই তদন্ত কোর্টের নজরদারিতে হতেই পারে। তবে, কোনও সমস্যা থাকলে আবেদনকারীরা তা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা দিল্লি হাইোকোর্টে আবেদন করতে পারে।

– ২৯ এপ্রিল, এই মামলার শুনানিতে দিল্লি পুলিশের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবে দিল্লি পুলিশ। যে নাবালিকা মহিলা কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই নাহালিকাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

– ওইদিন বিকেলেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়। একটি নাবালিকার অভিযোগ অনুসারে পকসো আইনের ধারায়, অন্যটি বাকি ছয় মহিলা কুস্তিগীরের অভিযোগের ভিত্তিতে।

– এদিন তুষার মেহতা শুরুতেই জানান, ওই নাবালিকার উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি ছয় প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা কুস্তিগীরের ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে যে, তাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও ঝুঁকি নেই। তবে, তাঁদেরও নিরাপত্তা দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করে, তাদেরকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

– এদিকে ব্রিজভূষণের পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, ব্রিজভূষণ-কে এই মামলার পক্ষ না করেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালত, সলিসিটর জেনারেলকে অভিযুক্ত পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। তুষার মেহত জানান, ইতিমধ্যেই তার বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। সামনের কয়েকদিনে বাকিদের বক্তব্যও নথিভুক্ত করা হবে।

– তদন্ত প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালনা করা হবে, তা তদন্তকারী সংস্থার উপরই ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি আরও জানান, দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র মহিলা কর্তার আওতায় এই মামলার তদন্ত চলছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, তদন্ত যাতে ঠিকঠাকভাবে হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

– তবে, দিল্লি পুলিশের তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারীদের আইনজীবী নরেন্দর হুডা। তিনি জানান, ২১ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা কুস্তিগীররা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর, ২৮ এপ্রিল অবশেষে তারা এফআইআর দায়ের করে। কোনও সরকারি নোটিস জারি না করেই, নাবালিকা অভিযোগকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ বলেও অভিযোগ জানান তিনি।

– অভিযুক্ত ব্রিজভূষণও বহাল তবিয়তে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি, প্রকাশ্যে আবেদনকারীদের নাম পর্যন্ত নিচ্ছেন। তাদের আখড়ার নাম নিচ্ছেন। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ এখনও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

– সলিসিটর জেনারেল জানান, অভিযোগকারীরা নিজেরাই টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। হরিশ সালভে জানান, তাঁরা প্রকাশ্যে ধরনাতেওবসেছেন। কাজেই অভিযুক্ত তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেছেন, এটা বলা যায় না।

– বুধবার রাতে দিল্লি পুলিশের কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় কুস্তিগীরদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বলেও অভিযোগ করেন আবেদনকারীদের আইনজীবী। তবে, সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ধরনাস্থলে গিয়ে বিছানা দিচ্ছিলেন। তা আটকানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। তাতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয়েছিল। পুলিশ কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

– দুই পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি শুনে শীর্ষ আদালত জানায়, আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক, এটাই চেয়েছিলেন। অন্যান্য সমস্যাগুলি এই বেঞ্চের এক্তিয়ারে নেই।

Next Article