Section 19 of PMLA: ED-র ডানা ছাঁটল শীর্ষ আদালত! আর করা যাবে না নির্বিচারে গ্রেফতার…

May 16, 2024 | 2:31 PM

Section 19 of PMLA: গত কয়েক বছরে তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র ১৯ নম্বর ধারার অধীনে, একের পর এক গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ধারার অধীনে চাইলেই গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। ইডি যাতে নির্বিচারে গ্রেফতার না করতে পারে, তার জন্যই শীর্ষ আদালত এই রায় দিল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Section 19 of PMLA: ED-র ডানা ছাঁটল শীর্ষ আদালত! আর করা যাবে না নির্বিচারে গ্রেফতার...
ইডির ক্ষমতা অনেকটাই কমালো শীর্ষ আদালত
Image Credit source: ANI

Follow Us

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৬ মে) একটি যুগান্তকারী রায়ে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডানা ছাটল সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েক বছরে তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র ১৯ নম্বর ধারার অধীনে, একের পর এক গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ধারার অধীনে চাইলেই গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। যদি, এক বিশেষ আদালতের সমন পেয়ে অভিযুক্ত আদালতে হাজিরা দেয়, সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে গেলে, ইডিকে প্রথমে সেই আদালতের অনুমোদন চাইতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জল ভয়ানের এক বেঞ্চ বলেছে, “অপরাধটি আদালতের আওতায় আসার পর, অভিযোগপত্রে যাকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে পিএমএল-এর ১৯ নম্বর ধারার অধীনে গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকে না ইডি এবং তার আধিকারিকদের।”

প্রসঙ্গত, পিএএলএ-র ১৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ইডি আধিকারিকদের হাতে যথেষ্ট উপাদান থাকে এবং সে দোষী বলে বিশ্বাস করার মতো কারণ থাকে (লিখিতভাবে দিতে হবে), তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে ইডিকে। এতদিন, এই ধারাকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন মামলায় একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। কিন্তু, এখন থেকে তা আর করা যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ করে, ইডি অভিযোগ দায়ের না করা পর্যন্ত যাদে গ্রেফতার করা হয়নি, তাদের পরে গ্রেফতার করা যাবে না।

প্রথমে বিশেষ আদালতকে একটি সমন জারি করতে হবে। আদালতের সমন পেয়ে, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি সেই সমনের যথাযথ উত্তর দেন, তাহলে তাকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না। বেঞ্চ বলেছে, বিশেষ আদালতের সমনের জবাব দেওয়ার পরও যদি অভিযুক্তের হেফাজতে নিতে চায় ইডি, সেই ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। সেই আদালত যদি মনে করে, অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে, সেই ক্ষেত্রেই আদালত ইডির সেই আবেদন মঞ্জুর করবে। তারপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি। তার আগে নয়। আর অভিযুক্ত যদি বিশেষ আদালতের সমনের উত্তর না দেয়, একমাত্র সেই ক্ষেত্রেই তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৭০ নম্বর ধারার অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যাবে ।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি এই মামলায় প্রথমবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তবে সেই পরোয়ানা হবে জামিনযোগ্য।

গত কয়েক বছরে ইডির বিরুদ্ধে বারবারই পিএমএলএ আইনের বলে বলিয়ান হয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের এদিনের রায়, ইডির এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে অভিযুক্তদের সুরক্ষা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইডি যাতে নির্বিচারে গ্রেফতার না করতে পারে, তার জন্যই শীর্ষ আদালত এই রায় দিল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Next Article