SSC Case in Supreme Court: ‘ঠাণ্ডা মাথায় শুনব’, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ভাগ্য

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 06, 2024 | 5:13 PM

SSC Case in Supreme Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিকবার তলব করার পরও যেহেতু এসএসসি কিংবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করে দেওয়া হয়নি, তাই যোগ্যদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে না পেরে, গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে।

SSC Case in Supreme Court: ঠাণ্ডা মাথায় শুনব, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ভাগ্য
সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলা
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। একধাক্কায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের শাস্তি দিতে গিয়ে কেন চাকরি গেল ‘যোগ্য’  শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীদের। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানির  কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই শুনানি হল না শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন ঠাণ্ডা মাথায় শোনা হবে এই মামলা।

এসএসসি কিংবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই মামলায় যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বাছাই করে দেওয়া হয়নি, তাই যোগ্যদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে না পেরে, গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক, শিক্ষিক ও শিক্ষাকর্মী সহ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে।

এসএসসি-র দাবি, এর মধ্যে অযোগ্য প্রার্থী তালিকা পাঁচ হাজারের কিছু বেশি। এই পরিস্থিতিতে দিয়েই যোগ্য অযোগ্যদের পার্থক্য বোঝাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে তালিকা পেশ করবে।

অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা যোগ্য হওয়ার পরও চাকরি হারিয়েছেন। সমস্ত ধাপ মেনে চাকরি পাওয়ার পরও চাকরি হারাতে হয়েছে তাঁদের। রাজ্য সরকার, এসএসসিন, বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরও দাবি, এতজনের চাকরি যাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাই সোমবারের এই শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শুনানি হল না।

এই মামলায় কে কোন পক্ষের আইনজীবী, কে কার প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেই তালিকা সোমবাবর সন্ধে সাতটার মধ্যে মেইল করে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার হবে শুনানি।

Next Article