নয়া দিল্লি ও কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের যে তদন্ত এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চালিয়ে আসছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিযোগ পুরসভার নিয়োগের (Municipality Recruitment Scam) ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমন অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে ওই মামলার দ্রুত শুনানি করা হয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মেনশন করার জন্য।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকেই পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করে। এমন অবস্থায় রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইয়ের উপর দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। প্রথমে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল। পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চও নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল এবং আগের নির্দেশই বহাল রেখেছিল। তারপর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রাজ্য আশানুরূপ কোনও ফল পায়নি।
হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। উল্টে, পুরসভা ও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির মধ্যে কোনও পারস্পরিক যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছিল আদালত। এই বিষয়ে ইডি কী কী তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।