Supreme Court On Taj mahal: তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা, পিটিশন খারিজ শীর্ষ আদালতের

Supreme Court Of India: আবেদনকারী ডঃ রজনীশ সিং নিজের দায়ের করা পিটিশনে জানিয়েছিলেন, মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল তৈরি করেছেন এমন কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই।

Supreme Court On Taj mahal: তাজমহলের 'আসল ইতিহাস' জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা, পিটিশন খারিজ শীর্ষ আদালতের
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 4:37 PM

নয়া দিল্লি: তাজমহলের (Taj Mahal) ‘আসল ইতিহাস’ জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) দায়ের হওয়া পিটিশন শুক্রবার খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনে দাবি করা হয়েছিল মুঘল সম্রাট শাহজাহান (Mughal Emperor Shahjahan) তাজমহল তৈরি করেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই। বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি এমএম সুনদ্রেশের বেঞ্চ এই মর্মে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করেছে। দেশের শীর্ষ আদালত ২০২২ সালের মার্চে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। এলাহাবাদ হাইকোর্টেও তাজমহলের ইতিহাস জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু সেই মামলাও খারিজ করেছিল আদালত।

আবেদনকারী ডঃ রজনীশ সিং নিজের দায়ের করা পিটিশনে জানিয়েছিলেন, মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাজমহল তৈরি করেছেন এমন কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নেই। শীর্ষ আদালতের কাছে পেশ করা পিটিশনে জানানো হয়েছিল, ‘আসল ইতিহাস’ খুঁজে বের করতে তাজমহলের বেসমেন্টের ঘর গুলিকে খোলা হোক। দায়ের হওয়া পিটিশনে শীর্ষ আদালতের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল যে ইতিহাস খুঁজে বের করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হোক।

তাজমহল শাহজাহান তৈরি করেছেন, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই, পিটিশনে এই দাবির পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। ইতিহাস বলে, স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতির উদ্দেশে ১৬৩১ থেকে ১৬৫৩ সালের মধ্যে তাজমহল তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। কিন্তু নিজের আবেদনে সেই দাবিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন রজনীশ সিং।

তাজমহলের বেসমেন্টে থাকা ২২টি ঘর খোলা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যে পিটিশন দাখিল হয়েছিল, তা চলতি বছর মার্চ মাসেই খারিজ হয়ে যায়। পিটিশন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এই বিষয় নিয়ে আবেদনকারীর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আবেদনকারীকে ইতিহাসে এম.এ এবং পি.এইচ.ডি করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত এবং জানিয়েছিল দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি তাঁকে এই বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ না দেয়, তখন আদালতের দ্বারস্থ হতে।