Supreme Court on Chhawla Case: ছাওয়ালা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 28, 2023 | 10:41 PM

Supreme Court: আবেদনে দিল্লি পুলিশ উল্লেখ করেছিল, বিনোদ নামে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একটি খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েছিল।

Supreme Court on Chhawla Case: ছাওয়ালা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: আদালতে রায়ে কোনও আইনি ভুল নেই, তাই ছাওয়ালা ধর্ষণ মামলায় রিভিউ পিটিশন বা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। পরে তিনজনকেই বেকসুর খালাস করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ পিটিশন দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ ও অন্যান্যরা। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্ট বেকসুর খালাস করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার সব তথ্য ও প্রমাণ খতিয়ে দেখে ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, এই রায়ে কোনও আইনি ভুল নেই ফলে রিভিউ করার কোনও প্রয়োজন নেই।

আবেদনে দিল্লি পুলিশ উল্লেখ করেছিল, বিনোদ নামে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একটি খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েছিল। তবে এই যুক্তি গ্রাহ্য করতে নারাজ ডিভিশন বেঞ্চ। অন্য কোনও ঘটনা দিয়ে এই মামলার বিচার করা যাবে না বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, আরও কয়েকটি এনজিও-র তরফেও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যেহেতু এই মামলায় পার্টি ছিল না, তাই তাদের কথা শুনতে নারাজ আদালত। দিল্লি সরকারের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

কী সেই মামলা?

২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। ১৯ বছরের এক তরুণী কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কেউ বা কারা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার রিওয়াড়ি থেকে তাঁর বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অটোপ্সিতে দেখা গিয়েছিল, ধর্ষণ ও খুন শুধু নয়, তরুণীর চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় রাহুল, রবি ও বিনোদ নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

কী ছিল ছাওয়ালা ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়

ওই মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চের তরফে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর তিনজনকেই বেকসুর খালাস করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছিল, কোনও নৈতিক চাপে নয়, প্রমাণ দেখে ও আইন মেনেই রায় দেওয়া হয়।

Next Article