নয়া দিল্লি: মামলার প্রয়োজনে অনেক সময় সরকারি আধিকারিকদের তলব করেন আদালতের বিচারপতিরা। তবে এবার আর ইচ্ছা মতো সরকারি আধিকারিকদের তলব করতে পারবে না হাইকোর্ট। এই বিষয়ে বিশেষ গাইডলাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সঙ্গে বেঞ্চ এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়েছে। এই নিয়ম সব হাইকোর্টকে মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কী বলা আছে গাইডলাইনে?
১. যদি হলফনামা বা নথি দিয়ে কাজ হয়, তাহলে সশরীরে তলব করা যাবে না।
২. যদি আদালতের মনে হয়, যা প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। প্রমাণ চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তাহলে সরকারি অফিসারকে তলব করা যেতে পারে।
৩. অফিসারের দেওয়া হলফনামা আর আদালতের পর্যবেক্ষণ যদি না মেলে, তাহলে সেই যুক্তিতে আধিকারিককে তলব করা যাবে না।
৪. যদি একান্তই আধিকারিকের হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে আদালত, তাহলে প্রথমে তাঁকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
৫. শুনানির অন্তত এক দিন আগে আধিকারিককে ভিডিয়ো কনফারেন্সের লিঙ্ক পাঠাতে হবে। এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল আইডি-র মাধ্যমে ওই লিঙ্ক পাঠাতে হবে।
৬. কী কারণে ওই আধিকারিককে হাজিরা দিতে বলা হবে, তা রেকর্ড করে রাখতে হবে। সেটা অফিসারকে জানাতে হবে।
৭. শুনানি চলাকালীন সরকারি আধিকারিককে কোর্ট রুমে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। কথা বলার সময় উঠে দাঁড়ালেই হবে। এছাড়া অফিসারের জন্য অবমাননাকর, এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না।
৮. আধিকারিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না। পোশাক নিয়েও কোনও মন্তব্য করা যাবে না।
উত্তর প্রদেশের একটি মামলায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন, যাতে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করে দেওয়া হয়।