নয়া দিল্লি: ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপের অভিযোগ ওঠার পরই বেপাত্তা ‘কিং অব গুড টাইমস’-র মালিক বিজয় মাল্য (Vijay Mallya)। এবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র তরফে তাঁকে শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হল হাজিরার। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যক্তিগতভাবে বিজয় মাল্য বা তাঁর আইনজীবীকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অবমাননার ওই মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাবস্ত্য় হয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন(Kingfisher Arline)-র মালিক।
গতকাল শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, বিজয় মাল্যকে একাধিকবার সশরীরে বা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতের শেষ নির্দেশেও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছিল। বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, দুই সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। গত বছরের নভেম্বর মাসের নির্দেশিকা অনুযায়ী তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন। যদি সেই নির্দেশ অমান্য করেন এবং হাজিরা না দেন, তবে আদালত যুক্তিযুক্ত বিচারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অবমাননার মালায় বিজয় মাল্য যে দোষী সাবস্ত্য হয়েছেন, সে কথা আরেকবার জানিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, এবার শুধু তাঁকে শাস্তি দেওয়া বাকি।
আদালতের তরফে নিয়োগ করা বিশেষ পরামর্শদাতা আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তকে বিচারপতিরা বলেন, “সাধারণ যুক্তি অনুযায়ী, সাজার শুনানির জন্য অভিযুক্তের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন, কিন্তু তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের? কেন্দ্রের তরফে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হলেও, তাদের সেই কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানা নেই।”
এর জবাবে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানান, অভিযুক্তকো সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে, এমন কোনও যুক্তি নেই। উনি নিজের আইনজীবীর মাধ্যমেও হাজিরা দিতে পারেন এবং এভাবে আদালতও তার শুনানি কার্য এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিচারপতি ভাট বলেন, “এক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা, কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। পরবর্তী শুনানিতেও একই ঘটনা ঘটবে। অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতেই আমাদের শাস্তি ঘোষণা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অন্য কোনও দেশের আদালত এতটা ক্ষমতাহীন বোধ করে না। আমরা সরকারের সহায়তা চাই। শাস্তি ঘোষণার জন্য আমাদের বলতে হবে যে এটি একটি ব্যতিক্রম পরিস্থিতি যেখানে অভিযুক্ত পলাতক। এরজন্য আমাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার প্রয়োজন।”
কেন্দ্রের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও জানান, শীর্ষ আদালতের তরফে বিজয় মাল্যকে হাজিরা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা উনি গ্রহণ করেননি। ভারত সরকারের তরফেও ব্রিটেনের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে যে, ওনার বিরুদ্ধে কিছু গোপন বিচার প্রক্রিয়া চলছে, যা বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়।
নয়া দিল্লি: ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপের অভিযোগ ওঠার পরই বেপাত্তা ‘কিং অব গুড টাইমস’-র মালিক বিজয় মাল্য (Vijay Mallya)। এবার সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)-র তরফে তাঁকে শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হল হাজিরার। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যক্তিগতভাবে বিজয় মাল্য বা তাঁর আইনজীবীকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অবমাননার ওই মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাবস্ত্য় হয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন(Kingfisher Arline)-র মালিক।
গতকাল শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, বিজয় মাল্যকে একাধিকবার সশরীরে বা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতের শেষ নির্দেশেও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছিল। বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, দুই সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। গত বছরের নভেম্বর মাসের নির্দেশিকা অনুযায়ী তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন। যদি সেই নির্দেশ অমান্য করেন এবং হাজিরা না দেন, তবে আদালত যুক্তিযুক্ত বিচারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অবমাননার মালায় বিজয় মাল্য যে দোষী সাবস্ত্য হয়েছেন, সে কথা আরেকবার জানিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, এবার শুধু তাঁকে শাস্তি দেওয়া বাকি।
আদালতের তরফে নিয়োগ করা বিশেষ পরামর্শদাতা আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তকে বিচারপতিরা বলেন, “সাধারণ যুক্তি অনুযায়ী, সাজার শুনানির জন্য অভিযুক্তের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন, কিন্তু তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের? কেন্দ্রের তরফে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হলেও, তাদের সেই কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানা নেই।”
এর জবাবে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানান, অভিযুক্তকো সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে, এমন কোনও যুক্তি নেই। উনি নিজের আইনজীবীর মাধ্যমেও হাজিরা দিতে পারেন এবং এভাবে আদালতও তার শুনানি কার্য এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিচারপতি ভাট বলেন, “এক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা, কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। পরবর্তী শুনানিতেও একই ঘটনা ঘটবে। অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতেই আমাদের শাস্তি ঘোষণা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অন্য কোনও দেশের আদালত এতটা ক্ষমতাহীন বোধ করে না। আমরা সরকারের সহায়তা চাই। শাস্তি ঘোষণার জন্য আমাদের বলতে হবে যে এটি একটি ব্যতিক্রম পরিস্থিতি যেখানে অভিযুক্ত পলাতক। এরজন্য আমাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার প্রয়োজন।”
কেন্দ্রের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও জানান, শীর্ষ আদালতের তরফে বিজয় মাল্যকে হাজিরা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা উনি গ্রহণ করেননি। ভারত সরকারের তরফেও ব্রিটেনের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে যে, ওনার বিরুদ্ধে কিছু গোপন বিচার প্রক্রিয়া চলছে, যা বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়।