Property Case in Supreme Court: তৃণমূলের বড় স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টে, ১৯ নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় স্থগিতাদেশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 09, 2022 | 2:06 PM

Property Case: ফিরহাদ হাকিম, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসক দলের মোট ১৯ জন নেতার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই মামলা হয়েছিল।

Property Case in Supreme Court: তৃণমূলের বড় স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টে, ১৯ নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় স্থগিতাদেশ
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি : আপাতত স্বস্তি পেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ১৯ জন নেতার সম্পত্তি ইস্যুতে যে মামলায় হয়েছিল, সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। শুক্রবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ জনের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূল নেতা।

মামলাটি পুরনো হলেও কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি ওই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, আপাতত ওই মামলায় কোনও তদন্ত করা যাবে না।

কোন ১৯ জনের নাম রয়েছে সেই মামলায়?

১৯ জনের তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, শিউলি সাহা, অরূপ রায়,সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বর্ণকমল সাহা, জাভেদ খান, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ। এ ছাড়া নাম রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং-এর, যাঁরা পরে তৃণমূল ছেড়েছেন। নাম রয়েছে প্রয়াত দুই নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডেরও। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও রয়েছেন সেই তালিকায়। অভিযোগ, ২০১১ সালের পর অর্থাৎ তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই সব নেতাদের সম্পত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শীর্ষ আদালতে তৃণমূল দাবি করেছে, ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। এ দিন তৃণমূলের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।

সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁদের নামে থাকা যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, তাতে শাসক দলের অস্বস্তি বেড়েছে। এরই মধ্যে সামনে আসে এই জনস্বার্থ মামলা। আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে ওই মামলায় ইডিকে যুক্ত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আপাতত হাইকোর্টে কোনও শুনানি হবে না।

Next Article