নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্র সরকার গঠন, বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ, নতুন স্পিকার নিয়োগের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানিতে আদালত এই মামলাগুলি বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির সুপারিশ করেছে। যদিও আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে এই মামলার রায়দান করা হবে। এদিন দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শেষে আদালত জানিয়েছে, আগামী ১ অগস্ট আরও একবার এই মামলার শুনানি হবে। শীর্ষ আদালতের পক্ষে একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরে শিবিরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে বিষয়ে তারা সওয়াল-জবাব চান, তা যেন একত্রিত করে আগামী মঙ্গলবারে মধ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দু’পক্ষকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদালতে যেসব অভিযোগগুলি দাখিল করা হয়েছে সেই গুলি যদি প্রত্যাহার করতে নিতে কেউ ইচ্ছুক হয়, তবে হলফনামা দাখিল করে সেগুলি প্রত্যাহার করা যাবে।
মহারাষ্ট্রের মহা-নাটক শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পরে এই আদালতের এই শুনানির দিকে তাকিয়েছিল সকলে। কিন্তু আদালতে দায়ের হওয়া দু’পক্ষের মামলাই এদিন কোনও নিষ্পত্তি হল না। মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদ নির্বাচনের দিন থেকে খেলা বদলাতে শুরু করেছিল। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের প্রার্থীকে সমর্থন না করে বেশ কিছু সেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই ৫৫ জন শিবসেনা বিধায়কের মধ্য ৪০ জনই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। বেশ কিছু নির্দল বিধায়কও তাদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন উদ্ধব। বিজেপির সমর্থন নিয়ে ৩০ জুনই রাজ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ শিন্ডে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে হয়েছিল দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে। ইতিমধ্যেই দল রাশ নিজের হাতে রাখতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা দল নিয়েও আগামী দিনে দড়ি টানাটানি হতে পারে। ১ অগস্ট শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।