‘ফেক নিউজ চিহ্নিত করা হোক’, সরকার ও সোশ্যাল মিডিয়াকে নোটিস শীর্ষ আদালতের

tista roychowdhury |

Feb 12, 2021 | 1:10 PM

বিজ্ঞাপন ও ফেক অ্যাকাউন্টের রমরমা। ছড়াচ্ছে বিদ্বেষ। সরকারকেও নোটিশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

ফেক নিউজ চিহ্নিত করা হোক, সরকার ও সোশ্যাল মিডিয়াকে নোটিস শীর্ষ আদালতের
ফেক নিউজ চিহ্নিত করতে সশ্যাল মিডিয়াগুলিকে নোটিস

Follow Us

নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত যত বেড়েছে, ততই ‘ফেক নিউজ’ নামক শব্দ বন্ধের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেড়েছে ভুয়ো খবরের রমরমা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ‘ফিড’-এ আসা খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এরই মধ্যে একদিকে যখন টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত প্রকট, তার মধ্যেই মাইক্রোব্লগিং সংস্থা পেল সুপ্রিম কোর্টের নোটিস। শুধু টুইটার নয়, বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে মানুষের কাছে যে খবর পৌঁছে যাচ্ছে তার মধ্যে ‘ফেক নিউজ’ চিহ্নিত করতে হবে, এমনটাই বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের সেই নোটিসে।

আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ৫ টাকা ছাড়, কমছে মদের দাম, ভোটের মুখে ঘোষণা প্রতিবেশী রাজ্যের

শুধু ফেক নিউজ নয়, ‘হেট মেসেজ’ বা বিদ্বেষ ছড়াতে পারে এমন কনটেন্টও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকেই নয়, নোটিস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও। গত বছরের মে মাসে এই বিষয়ে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কা। সেই আবেদনে তিনি জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ফেক অ্যাকাউন্টের দৌলতে উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগও করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের নাম ব্যবহার করে অন্তত শতাধিক ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিশেষত ভোটের আগে এইসব অ্যাকাউন্টগুলিকে বিরোধী দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতার আবেদনের ভিত্তিতেই শুক্রবার নোটিস দেওয়া হল সরকার ও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে।

এর আগে বৃহস্পতিবারই অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলির জন্য বিশেষ খসড়া বিধি তৈরি করেছে কেন্দ্র, যেখানে জনপ্রিয় প্লাটফর্মগুলির উপর কড়া নজর রাখার সব রকমের পরিকল্পনা করে ফেলেছে সরকার। কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত টুইট নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মোদী সরকার। নির্দেশিকা দেওয়ার পরও অ্যাকাউন্ট ব্লক করার উদ্যোগ নেয়নি ক্যালিফোর্নিয়ার ওই সংস্থা। তাঁদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেও লাভ হয়নি খুব একটা। তাই এবার নতুন নিয়ম তৈরি করে সংস্থাগুলিকে চাপে রাখতে চায় কেন্দ্র।

নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, সব বিতর্কিত ‘কনটেন্ট’ সরিয়ে ফেলতে হবে বা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে হবে। যদিও ওই নিয়মাবলীতে কোনও শাস্তির কথা বলা হয়নি তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কোন টা পোস্ট করা উচিৎ আর কোন টা উচিৎ নয়, সেই ব্যাপারে সতর্ক করা হবে। আদালত বা কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান নির্দেশ দিলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কনটেন্ট মুছে ফেলতে হবে। টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, লিঙ্কড-ইন সহ সব প্লাটফর্মই এই নিয়মের আওতায় পড়বে। এই প্লাটমর্ফগুলির উপর ২৪ ঘণ্টার নজরদারি চালাতে এক সরকারি আধিকারিককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।

Next Article