Supreme Court: আবার থমকে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, বিশেষ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 13, 2023 | 11:54 PM

Supreme Court: বারবার বিজেপি ও আপের মধ্যে সংঘাতে বানচাল হয়ে যাচ্ছে মেয়র নির্বাচন। এর আগে তিনবার চেষ্টা হলেও নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

Supreme Court: আবার থমকে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, বিশেষ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: দিল্লির মেয়র নির্বাচনের ওপর ফের স্থগিতাদেশ। বৃহস্পতিবার যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তাতেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই নিয়ে চতুর্থবার স্থগিত হয়ে গেল মেয়র নির্বাচন। আম আদমি পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয় মামলা করেছিলেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোনীত প্রার্থীরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না, সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর তরফে সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন জানিয়েছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচনের একটি দিন স্থির করা হবে। বারবার বিজেপি ও আপের মধ্যে সংঘাতে বানচাল হয়ে যাচ্ছে মেয়র নির্বাচন। এর আগে তিনবার চেষ্টা হলেও নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের দলের দাবি মেনে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন স্থির করতে রাজি হয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

দিল্লির মেয়র নির্বাচন জলঘোলা চলথে বেশ কিছুদিন ধরেই। আম আদমি পার্টি ও বিজেপির হই-হট্টগোল, মারপিটের জেরে তা বারবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরেই বিজেপির দখলে ছিল দিল্লির পুরসভা। গত বছরের শেষের দিকে দিল্লির পুরসভা নির্বাচনে ২৫০ টি আসনের মধ্যে ১৪৩টিতে জয়ী হয় আপ। পুরসভার দখল নেয় তারা। এরপর থেকেই মেয়র নির্বাচনের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে গত ৬ জানুয়ারি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।

কিন্তু লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মনোনীত প্রার্থীরা আদৌ ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আপ ও বিজেপির মধ্যে বিরোধ এই নিয়েই। গত ২৪ জানুয়ারিও নির্বাচনের আয়োজন করা হলে, বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার জন্য সেই নির্বাচনও মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসেবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের দল আম আদমি পার্টির দখলেই মেয়র পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্ট্য়ান্ডিং কমিটি কার দখলে থাকবে, তা নিয়েই চূড়ান্ত টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Next Article