নয়াদিল্লি: মানুষ খুনের থেকেও গুরুতর অপরাধ। মঙ্গলবার একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এদিন দেশে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা নিয়ে শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঞার ডিভিশন বেঞ্চে। সেই শুনানিতে নির্বিচারে বনাঞ্চল ছেঁটে ফেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিচারপতিদের। পাশাপাশি, ওই সংক্রান্ত মামলায় এক ব্যক্তিকে গাছ কাটার জন্য এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
আগ্রার তাজমহল সংলগ্ন এলাকায় প্রায় সংরক্ষিত ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, সেই ভিত্তিতেই ছিল শুনানি। যেখানে গাছ কাটা নিয়ে অভিযুক্তকে ভর্ৎসনার মুখ ফেলে আদালত। এছাড়াও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে সকল ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে গাছ কাটেন, তাদেরকে কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দেওয়া উচিত।
বিচারপতিরা আরও বলেন, ওই ৪৫৪টি গাছ থেকে পরিবেশের যে মঙ্গল হত, তা পুনরুদ্ধার করতে আরও ১০০ বছর সময় লেগে যাবে।
উল্লেখ্য, এদিন বরিষ্ঠ আইনজীবী এডিএন রাওয়ের পরামর্শের ভিত্তিতে গাছ কাটার মতো ঘটনাকে লঘু ভাবে যাতে কেউ না দেখে, সেই নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় আদালতকে। তাদের পর্যবেক্ষণ, ‘পরিবেশগত মামলায় কোনও ভাবে ঢিলেমি দেখানো যাবে না। এত পরিমাণ গাছ কাটা মানুষ খুনের থেকেও গুরুতর অপরাধ। যার পরিণাম আগামী দিনে মানুষকে গুনতে হবে।
এরপরই কেন্দ্রীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি (Central Empowered Committee) প্রদত্ত রিপোর্ট মেনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, অবৈধভাবে কাটা গাছ প্রতি ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। অবশ্য, আদালতের ওই জরিমানার নির্দেশের পাল্টা অভিযুক্তের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বেঞ্চকে জানিয়েছেন, তার মক্কেল ভুল স্বীকার করেছে, তার উপর চাপানো এই বিপুল রাশির জরিমানাকে কিছু কমানো উচিত।