Supreme Court: ‘ক্ষমতার দম্ভের জেরে যা খুশি বলা যায়?’, ‘সুপ্রিম’ ভৎসর্নার মুখে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 01, 2022 | 2:55 PM

Supreme Court: এ দিন বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, "আমরা দেখেছি যে কীভাবে উনি বিতর্ক শুরু করেছিলেন। যেভাবে উনি কথাগুলি বলেছিলেন এবং শেষে বলেছিলেন যে উনি আইনজীবী, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ওনার উচিত গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।"

Supreme Court: ক্ষমতার দম্ভের জেরে যা খুশি বলা যায়?, সুপ্রিম ভৎসর্নার মুখে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তীব্র ভৎসর্না নূপুর শর্মাকে।

Follow Us

নয়া দিল্লি: সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তুমুল ভৎসর্না করল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, “নূপুর শর্মা যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তার জন্য গোটা দেশের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ দিন সেই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালতের বিজেপি নেত্রীকে তুমুল ভৎসর্না করে বলা হয়, “যেভাবে তিনি দেশের মানুষদের অনুভূতি নিয়ে খেলেছেন…গোটা দেশে যা হচ্ছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নূপুর শর্মা।”

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিজেপির প্রাক্তন এই মুখপাত্র মহম্মদ নবি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জেরে দেশে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ-অবরোধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একাধিক দেশের তরফেও সমালোচনা করা হয়।

এ দিন বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, “আমরা দেখেছি যে কীভাবে উনি বিতর্ক শুরু করেছিলেন। যেভাবে উনি কথাগুলি বলেছিলেন এবং শেষে বলেছিলেন যে উনি আইনজীবী, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ওনার উচিত গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।”

শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, “বিজেপি নেত্রী যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা ঔদ্ধত্যেরই প্রমাণ দিয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়েছেন তো কী? ক্ষমতার দম্ভের জেরে উনি ভেবেছেন যে যা খুশি মন্তব্য করা যায়।”

নূপুর শর্মার আইনজীবী জানান, ওই টিভি শোয়ের সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবেই নূপুর শর্মা ওই উত্তর দিয়েছিলেন। এর উত্তরে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা যে তবে ওই টিভি শোয়ের সঞ্চালকের বিরুদ্ধেও মামলা করা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আরও বলেন, “বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য আবেগ উস্কে দেওয়ার মতো। নূপুর শর্মার মতো মানুষেরা অবিবেচকের মতো মন্তব্য করেন, যা হিংসায় উস্কানি দেয়। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হওয়ার অর্থ এই নয় যে যা মুখে এল, তাই বলা যাবে। ওনার উচিত গোটা দেশের সামনে ক্ষমা চাওয়া।”

নূপুর শর্মার আইনজীবী প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গ তুললে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, “উনি হুমকি পাচ্ছেন নাকি উনি নিজেই দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হয়ে উঠেছেন? বর্তমানে দেশে যা হচ্ছে, তার জন্য একমাত্র উনিই দায়ী।”

দিল্লি পুলিশ ও যে সংবাদ মাধ্যমে ওই বিতর্কসভাটির আয়োজন করা হয়েছিল, তাদেরও তীব্র ভৎসর্না করে বলা হয়, “দিল্লি পুলিশ কী করেছে? আমাদের মুখ খোলাবেন না। ওই টিভি শোয়ের বিতর্কসভা কী নিয়ে ছিল? উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোনও বিষয়ে উসকানি দেওয়া? কেন বিচারাধীন বিষয়কে বিতর্কের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল?”

পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা বলেন, “আপনারা যখন অন্য কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অভিযোগ যখন আপনাদেরই বিরুদ্ধে, তখন আপনাদের স্পর্শ করারও কেউ সাহস দেখান না।”

Next Article