নয়া দিল্লি: মাসিকের সময় মেয়েদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলতে হয়। আর তার জন্য জরুরি কাপড় ব্যবহার না করে যথাযথভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা। তবে অনেক পরিবারই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় বাড়ির মেয়ে ও মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত করতে পারে না। আর স্কুলে অনেক সময় হঠাৎ করে পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হলে সমস্যায় পড়তে হয় অনেক ছাত্রীদের। আর তার জন্যই স্কুলে সকল ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমহার বেঞ্চ কেন্দ্র ও সকল রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সমস্ত স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের জন্য নোটিস জারি করেছে।
বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের জন্য আবেদন করেছিলেন এক সমাজকর্মী। এক্ষেত্রে তিনি ৩২ নম্বর ধারার অধীনে সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার তুলে ধরেছিলেন। সেই আবেদনে প্রতিটি সরকারি, আবাসিক স্কুল ও সরকারের অনুদানে পরিচালিত স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাথরুমের দাবি করা হয়। পাশাপাশি সেখানে যাতে সাফাই কর্মীরাও থাকেন সেই বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এই আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট (Menstrual Hygiene Management) নিয়ে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা মেয়েদের শিক্ষার কাছে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্যানিটারি সুবিধা ও মেনস্ট্রুয়াল প্রোডাক্টের অপ্রতুলতা এবং পিরিয়ডের সঙ্গে জড়িত ধ্যান-ধারণার কারণে অনেক মেয়ে স্কুল ছুট হচ্ছে। এই বিষয়ে গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে শীর্ষ আদালত। তাই এই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য ও সাহায্য করার জন্য সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে অনুরোধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, আবেদনকারীর আইনজীবী বরুণ ঠাকুর আদালতে দাসরার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী,যথাযথ মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রতি বছর ২৩ মিলিয়নের বেশি মেয়ে স্কুল যাওয়া ছেড়ে দেয়। ফলে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে স্যানিটেশন সুবিধা, অপর্যাপ্ত টয়লেট। এবার এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।