নয়া দিল্লি: নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ স্থগিত রাখতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নয়া সরকারি নিয়মটির উপর স্থগিতাদেশ জারি করতেও অস্বীকার শীর্ষ করল আদালত। আদালত জানিয়েছে, কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে তারা কোনও আইনকে স্থগিত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ আরও বলেছে, নয়া দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ স্থগিত করতে লিখিত আবেদন করতে হবে। এই বিষয়ে, মৌখিক আবেদন আদালত গ্রহণ করবে না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই (১৪ মার্চ), দুই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্তা, জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুকে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এক কমিটি।
নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের এই কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে, নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতি থাকতেন। ২০২৩ সালে এক আইন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া আইন অনুসারে, নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর বদলে, প্রধানমন্ত্রীর বাছাই করা এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে এই কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, প্রথমবার এই কমিটি বৈঠকে বসেছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কমিটিতে জায়গা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ, এর ফলে এই বাছাই কমিটিতে প্রথম থেকেই সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে। ফলে, কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রাক্তন আইএএস অফিসার জ্ঞানেশ কুমার কেরলের বাসিন্দা আর সুখবীর সিং সান্ধু পঞ্জাবের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সহযোগিতা মন্ত্রকের সচিব পদ থেকে অবসর নেন জ্ঞানেশ কুমার। সুখবীর সিং সান্ধু ছিলেন উত্তরাখণ্ড সরকারের প্রাক্তন মুখ্য সচিব। ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি অবসর নিয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি অবসর নেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পান্ডে। গত ৮ মার্চ আকস্মিক পদত্যাগ করেন অরুণ গোয়েল। ফলে, দুইজন নির্বাচন কমিশনারের পর ফাঁকা পড়েছিল। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এদিকে, আগামীকাল বিকেল ৩টেতেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।