নয়া দিল্লি: গুজরাট পুলিশকে সোমবার নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র (TMC Spokes Person) সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ গুজরাট সরকারকে নোটিস ইস্যু করেছে। এবং সেই নোটিসের প্রেক্ষিতে ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাবও চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধনাসভা নির্বাচনের সময় ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকার অপব্যবহারের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল এই তৃণমূল মুখপাত্রকে। সেই মামলায় গত ২৩ জানুয়ারি সাকেতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। গুজরাট কোর্টের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের মুখপাত্র। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে আজ শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সাকেত গোখেলের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী ডঃ অভিষেক মনু সিংভি। সেই শুনানির ভিত্তিতেই গুজরাট পুলিশকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত।
কী অভিযোগ সাকেত গোখেলের বিরুদ্ধে?
সাকেত গোখেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘আওয়ার ডেমোক্রেসি’ (Our Democracy) নামে এক ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১,৭০০ জনেরও বেশি লোকের থেকে ৭২ লক্ষের বেশি টাকা সংগ্রহ করেছেন। সেই টাকা ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। ফলে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের সেই তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। পরে তাঁর জামিনের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়। বিচারপতি সমীর জে. দাভে বলেছিলেন, হিতকার্যে সংগৃহীত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন।
এদিকে গোখেল নিজের গ্রেফতারির পিছনে অন্য যুক্তি সাজিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি টুইট করার জন্যই গত ৬ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মোরবি সেতু বিপর্যয় স্থল পরিদর্শনে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর গ্রেফতারের তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। পরে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের অর্থ তছরুপের মামলায় ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে সাকেতকে গ্রেফতার করে আমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম শাখা।