নয়া দিল্লি: মুক্ত বিচার ব্যবস্থায় বাধা দেয় ‘সিল করা নথি’, বুধবার এই কড়া মন্তব্য় করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়(CJI DY Chandrachud)। বরাবরই প্রধান বিচারপতি সিল কভারে গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশের বিরেধিতা করে এসেছেন, সমালোচনা করেছেন। বুধবার কেন্দ্রের একটি সংবাদমাধ্য়মের সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সিল কভারে (Seal Cover) পর্যবেক্ষণ দাখিল করায় শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির কারণ হিসাবে কেন্দ্রের তরফে যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে সিল কভারে জমা দেওয়া হয়। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় সম্পর্কিত, এই কারণ দেখিয়েই কেন্দ্র সিল কভারে নথি জমা দেয়। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যেকোনও দাবি শূন্যে ভাসিয়ে দেওয়া যায় না। এখানে এমন কোনও তথ্য বা বিষয় নেই যা সন্ত্রাসবাদী যোগ প্রমাণ করে।”
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রকে ভৎর্সনা করে বলা হয়, “আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ায় অপর পক্ষের কাছে তথ্য় প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারকে এই ধরনের শক্তি দেওয়া যায় না। সমস্ত তদন্তের রিপোর্টকেই গোপন নথির তকমা দেওয়া যায় না, এতে নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা খর্ব হয়। সিল করা নথি মুক্ত ও স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।”
শীর্ষ আদালতের তরফে আরও বলা হয়, “জনসাধারণকে জবাব দেওয়া থেকে এড়াতে সিল কভারে নথি পেশের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা যেতে পারে না। জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষাও প্রয়োজন। ”
উল্লেখ্য়, এর আগে গত মার্চ মাসেই শীর্ষ আদালতের তরফে সিল কভারে কেন্দ্রের নথি পেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের এক র্যাঙ্ক, এক পেনশন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের সিল কভারে নথি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। সম্প্রতি আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের মামলায় কেন্দ্রের তরফে সিল কভারে তদন্ত ও কমিটির সদস্য়দের নাম সুপারিশের আর্জি জানানো হলে, তা খারিজ করে দেওয়া হয়।