SSC Recruitment Case: ‘অযোগ্য নই’ বলে আর্জি সুপ্রিম কোর্টে, SSC পরীক্ষা নিয়ে কী নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
Supreme Court-SSC Case: আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সুজাতার মতো এরকম অনেকেই আছেন, যাঁরা অযোগ্য তালিকায় রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।"

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে আবার পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বনম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথা। আর সেই পরীক্ষা পিছতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট। হাতে যখন আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, তার আগে সুপ্রিম কোর্টে শোনা হল না এক চাকরিহারার আর্জি।
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশের আবেদনে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিমকোর্ট। অন্যতম চাকরিহারা শিক্ষিকা সুজাতা দাস একটি মামলা করেছিলেন শীর্ষ আদালতে। অযোগ্যদের যে তালিকা আছে অর্থাৎ যাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, সেই তালিকায় নাম আছে সুজাতার। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর দাবি, তিনি অযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও ওই তালিকায় নাম আছে তাঁর।
ওই চাকরিহারা শিক্ষিকার আবেদন ছিল, এসএসসি-র আসন্ন পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে এবং তাঁকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। উল্লেখ্য, আদালত আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে চিহ্নিত অযোগ্যরা এসএসসি-র নতুন পরীক্ষায় বসতে পারবে না। এদিন সুজাতা দাস পরীক্ষায় বসার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও চাকরিপ্রার্থী যদি মনে করেন তিনি টেইনটেইড (অযোগ্য) নন এবং যথাযোগ্য প্রমাণ দেখাতে পারেন, তবে তা যথোপযুক্ত কি না, তা বিবেচনা করতে হবে হাইকোর্টকে। শুনানি পর্বে এই বিষয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুজাতার মতো এরকম অনেকেই আছেন, যাঁরা অযোগ্য তালিকায় রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।” সেই আবেদন শুনতে অস্বীকার করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এদিন বলেন, “শীর্ষ আদালতের নির্দেশের কথা বলে হাইকোর্ট এই বিষয়ে শুনতে অস্বীকার করতে পারে না।”
