Supreme Court: ‘যোগ্যরা সুবিধা পেলে ক্ষতি কী?’, সুপ্রিম কোর্টেও ক্লিনচিট পেল SSC
Supreme Court: কলকাতা হাইকোর্ট আগেই ক্লিনচিট দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। নতুুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগে আর কোনও বাধা নেই।

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। ২০২৫-এর রুল অনুযায়ী যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সম্মতি দিল সুপ্রিম কোর্টও। কলকাতা হাইকোর্টে আগেই মান্যতা পেয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি। হাইকোর্টের সেই নির্দেশই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ এসএসসি-র কাছে আর কোনও বাধা রইল না।
২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করার যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেখানেই বলা হয়েছিল, চিহ্নিত অযোগ্য বাদে বাকি চাকরিহারাদের বয়সে ছাড় দেওয়া হবে। সেই মতো রায়ের কথা উল্লেখ করেই এসএসসি বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে এসএসসি। এছাড়া শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে নোটিফিকেশনে। এই দুই বিষয় নিয়েই আপত্তি ছিল চাকরি প্রার্থীদের একাংশের।
হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির পর এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিকে মান্যতা দিয়েছিল। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মামলাকারীরা। অভিযোগ ছিল, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া ১০ নম্বর থেকে বঞ্চিত হবেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “টেইনটেডরা (অযোগ্যরা) বাদ হয়ে গিয়েছেন। আনটেনটেডরা (যোগ্যারা) বাড়তি সুযোগ পেলে ক্ষতি কী? তাঁদের তো পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, যোগ্য শিক্ষকদের বয়সের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে, অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকবে না। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আবেদন করেছিলেন, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদেরও এই ছাড়ের আওতায় আনতে হবে। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দিল তারা এই অবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না।
