Supreme Court on IIT: ‘আইআইটি খড়্গপুরে এটা কী চলছে?’, উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির
Supreme Court on IIT: বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "পড়ুয়ার বাবা কীভাবে জানলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে? তাঁকে কে জানিয়েছিল? কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু জানাননি? আপনারা কেন আদালতের নির্দেশ মেনে চলছেন না? পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে সেই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সম্পর্কে অবগত করা কি আপনাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?

নয়াদিল্লি: একটি আইআইটি খড়্গপুর। অন্যটি শারদা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর পর দু’জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় নাড়া পড়েছে শীর্ষ আদালতে। ২১ জুলাই এই ঘটনাগুলিতে স্বতপ্রণোদিত ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই তদন্তই আরও দ্রুত করার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
এদিন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে চলছিল শুনানি। তখনই বিচারপতি পারদিওয়ালা প্রশ্ন করেন, সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় কেন কর্তৃপক্ষ কোনও মামলা দায়ের করেনি? বিশ্ববিদ্যালয়ের সওয়ালকারীকে উদ্দেশ্যে করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পড়ুয়ার বাবা কীভাবে জানলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে? তাঁকে কে জানিয়েছিল? কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে কিছু জানাননি? আপনারা কেন আদালতের নির্দেশ মেনে চলছেন না? পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে সেই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সম্পর্কে অবগত করা কি আপনাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
পাশাপাশি, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ুয়া মৃত্য়ুর ঘটনায় তাদের তরফের সওয়ালকারীকে বিচারপতি বলেন, “আইআইটি খড়্গপুরে এটা কী চলছে? সেখানে কেন এত পড়ুয়া আত্মহত্য়া করছে? আপনারা পরিস্থিতি সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?”
উল্লেখ্য, এর আগেও পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে শীর্ষ আদালতকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। এই বিচারপতিদের বেঞ্চেই ছিল সেবারের শুনানি। সেবার আদালত দেশজুড়ে পডুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ও আত্মহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দশজন সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, কোন কারণে দেশের পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথে নামছেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। সেই টাস্ক ফোর্স এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। তবে প্রাথমিক রিপোর্ট এখনও অধরা।

