নয়া দিল্লি: আরজি করে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর যখন মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তার মধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু নীতি সামনে আনে। ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে সেই নিয়ম-বিধিতে বলা হয়, মহিলাদের যতটা সম্ভব কম নাইট ডিউটি দিতে হবে। সেই নীতি নিয়ে বিতর্কও হয়েছে রাজ্যে। এবার সেই নীতির কথা শুনে কার্যত অবাক হয়ে গেলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
মঙ্গলবার আরজি কর সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন ‘ডক্টরস ফর পেশেন্টস’ নামক ট্রাস্টের তরফ থেকে আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকারের পলিসি না নীতিতে বলা হয়েছে, মহিলারা ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবেন না, মহিলাদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখতে হবে।
এই নীতির কথা শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনারা কীভাবে বলতে পারেন যে মহিলারা নাইট ডিউটি করবেন না? মহিলারা কোনও বাড়তি সুবিধা চান না, তাঁরা নিরাপত্তা চান। কপিল সিব্বলকে বলব বিষয়টি দেখতে।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “পুরুষ যদি ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারে, তাহলে মহিলারা পারবেন। এটা নিষেধ করতে পারে না রাজ্য। আমাদের দেশে রাতে কাজ না করার কথা কোনও মহিলাকে বলতে পারি না। ডাক্তার থেকে সেনাবাহিনী, সবাই রাতে কাজ করে।” এই বক্তব্যের পর কপিল সিব্বল বলেন, “কোনও ব্যাপার নয়। আমরা একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেব।”
শুনানির শেষের দিকে আবারও প্রধান বিচারপতি বলেন, “মহিলারা রাতে কাজ করবে না, এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এটা তাদেরকে কেরিয়ারে প্রভাব ফেলবে। পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা ডাক্তারদের আলাদা ডিউটি আওয়ার থাকা উচিত নয়।” অবিলম্বে এই নীতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শেষে কপিল সিব্বল জানান, রাজ্য নাইট ডিউটি বন্ধ করার কথা বলেনি, সম্ভব হলে রাতে কাজ না দেওয়ার কথা বলেছে।