নয়া দিল্লি: হিন্দু মহাসভার প্রধান স্বামী চক্রপাণিকে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য করার দাবিতে করা আবেদনের শুনানি প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য এই ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছিল। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর), প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চ এই আবেদন শোনে। বেঞ্চ আবেদনকারীদের এই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আবেদন প্রত্যাহার করা হয়।
হিন্দু মহাসভার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জানান, অযোধ্যা ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে স্বামী চক্রপাণির কোনও ‘ন্যাস্ত অধিকার’ নেই। তবে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, ট্রাস্টের সদস্য হওয়ার বিধি এবং যোগ্যতার কাঠামো নেই। তা থাকলে তবেই ন্যাস্ত অধিকারের প্রশ্ন আসত। আবেদনকারী পক্ষের দাবি, সরকারকে এই বিষয়ে একটি নিয়ম তৈরি করতে হবে। আর তা হলে আবেদনকারী, অর্থাৎ, স্বামী চক্রপাণিকে জানাতে হবে।
তবে, আবেদনকরীর এই যুক্তি আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা এই রিট পিটিশন খারিজ করে দিলে কিছুই হবে না। আপনি আযোধ্য়া ট্রাস্টের অংশ হতে চাইলে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যান। আমরা এই আবেদনের শুনানি করব না। আমরা এর ভিতরে ঢুকতে চাই না। আপনি এই আবেদন প্রত্যাহার করে অন্য পথে ট্রাস্টের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।” এরপরই স্বামী চক্রপাণির পক্ষের আইনজীবী আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলার রায় ঘোষণার সময়, কেন্দ্রকে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি তুলে দিয়েছিল। রামলালার মন্দিরের প্রধান মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসকে সভাপতি করে, এই ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছিল। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ সভাপতি চম্পত রাই, বিশিষ্ট আইনজীবী কে পরাসরণ, প্রাক্তন আইএএস অফিসার নৃপেন্দ্র মিত্র প্রমুখ।