নয়াদিল্লি : নন্দীগ্রামের ইলেকশন পিটিশনের মামলা যাতে অন্য কোনও হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, “কোন হাইকোর্টে শুনানি হবে, তা বেছে নেওয়াকে আমরা অনুমতি দিতে পারি না। যে হাইকোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যে বিষয়টি পড়ছে, সেখানেই বিষয়টির শুনানি হোক।” সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশনামায় আরও জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছেন। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, “যদি আমরা মামলা অন্যত্র স্থানান্তর করি, তাহলে বিষয়টি সামগ্রিকভাবে হাইকোর্টের উপর আস্থার অভাবকে ব্যক্ত করবে।”
নন্দীগ্রাম মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মতে, হাইকোর্ট নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকা বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে যথেষ্টভাবে সক্ষম। তিনি বলেন, “হাইকোর্টগুলি নিজের নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকা বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করুক। আমরা এমন কোনও বার্তা দেব না, যাতে মনে হয় হাইকোর্টের উপর আমাদের আস্থা নেই।”
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর আইনীজীবী হরিশ সালভে এদিন আদালতে জানিয়েছেন, কলকাতার পরিস্থিতি এই ইলেকশন পিটিশনের শুনানির জন্য উপযুক্ত নয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যে এই মামলায় একজন বিচারপতির থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন, সেই কথাও হরিশ সালভে উল্লেখ করেন শীর্ষ আদালতে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ইলেকশন পিটিশনের শুনানি চলাকালীন পরিবেশ যাতে উপযুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিদের কাছে। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “এই সব বিষয় সামলানোর জন্য বিচারপতিদের কাঁধ যথেষ্ট চওড়া।”
শুভেন্দুর পক্ষের আইনজীবী হরিশ সালভের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “আমরা এখন কোনও পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছি না। কারণ, তাহলে এটা স্বীকার করে নেওয়া হবে যে মামলা চলার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই। আগে মামলা শুরু হোক। যদি সাক্ষীদের কোনও সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে আপনারা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।”