নয়া দিল্লি: চাপানউতোর-জল্পনা চলছিলই। এরইমধ্যে গোটা দেশের সমস্ত উপাসনালয় অর্থাৎ মন্দির-মসজিদ-গির্জায় সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কেন্দ্র এ নিয়ে ভাবছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহের সময়। তার মধ্যেই কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান জানাতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের শুনানি হওয়া পর্যন্ত দেশের কোনও নিম্ন আদালত নতুন করে কোনও পিটিশন গ্রহণ করতে পারবে না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশও দিতে পারবে না নিম্ন আদালতগুলি। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতেও নতুন করে এই বিষয়ে কোনও আবেদন গৃহীত হবে না বলেও উপাসনালয় আইন মামলার শুনানিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
একইসঙ্গে মসজিদের উপর বৈজ্ঞানিক বা অবৈজ্ঞানিক কোনওরকম সার্ভের অনুমতি দিতে পারবে না কোনও নিম্ন আদালত। এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। ১৯৯১ সালের ‘প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ (স্পেশাল প্রভিশনস) অ্যাক্ট’-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয়েছে একাধিক আবেদন। বর্তমানে সেই সমস্ত আবেদনেরই শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিকে বর্তমান আইন বলছে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। স্বাধীনতার সময় থেকে যে মন্দির-মসজিদ-গির্জা যেখানে ছিল সেখানেই রাখতে হবে। কিন্তু আইনে বদল চেয়ে মামলা হয়। এমনকী দেশের নিম্ন আদালতগুলির একাধিক নির্দেশ নিয়ে জলঘোলাও হয় বিস্তর। সমীক্ষা নিয়েও চলতে থাকে চাপানউতোর। তারইমধ্যে এল শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ।