AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: একটি ভাষা বলার জন্য কাউকে বিদেশি বলা যায় না: সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court on Pushback: এদিন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফ থেকে করা মামলার ভিত্তি শীর্ষ আদালতে চলছিল শুনানি। সেখানে উঠে আসে সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশে পুশব্য়াক হওয়া অন্তসত্ত্বা সোনালী বিবির কথাও।

Supreme Court: একটি ভাষা বলার জন্য কাউকে বিদেশি বলা যায় না: সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2025 | 2:18 PM
Share

নয়াদিল্লি: কেন যাচাই করা হচ্ছে না নাগরিকত্ব? নথি-পরিচয় না দেখে কেন ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে? বাংলায় কথা বললেই বা কেন বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? শুক্রবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে উঠে এল এই প্রশ্নগুলোই। এদিন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফ থেকে করা মামলার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতে চলছিল শুনানি। বিচারপতি সূর্যকান্ত, জয়মাল্য বাগচী এবং বিপুল এম পাঞ্চোলির বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা।

শুক্রবার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে আদালতে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পুশব্যাক ইস্যুতে যুক্তি তৈরিতে তিনি তুলে ধরেন সোনালি বিবির কথা। বাংলার বীরভূমের বধূ সোনালি বর্তমানে ‘দেশহীন’। দিল্লিতে স্বামী-সন্তান নিয়েই থাকতেন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে সেখানে কাজ করতেন তারা। কিন্তু গত জুন মাসে তাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। ওই সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। আর সেই অবস্থায় তাদের ঠেলে দেওয়া বাংলাদেশে।

এদিনের শুনানি পর্বে প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ, নাগরিক প্রমাণপত্র যাচাই না করে, শুধুমাত্র ভাষার ভিত্তিতে ওই মহিলাকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। এমনকি, এর আগে এই মামলায় নোটিস ইস্যু করলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও জবাব দেয়নি বলেই দাবি করেন শ্রমিক সংগঠনের সওয়ালকারী।

তিনি আদালতকে জানান, নোটিসের জবাব দেওয়ার পরিবর্তে কলকাতা হাইকোর্টে সোনালী বিবির মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়,  এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তাই হাইকোর্ট যেন এখন এই মামলা না শোনে। কেন্দ্রীয় আবেদন মেনে নেয় হাইকোর্ট। মুলতুবি হয় শুনানি।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, সোনালিকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হতেই তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেছিল পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক ওয়েলফেয়ার বোর্ড। কিন্তু ওই সময়কালেই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য়ের পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত এই একই ধরনের মামলা চলায় সোনালির মামলা শুনতে রাজি হয় না হাইকোর্ট। সেটাকেই ‘ঢাল করে’ কেন্দ্রও।

একদিকে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পুশব্যাক ইস্য়ুতে একের পর এক যুক্তি পেশ করছেন শ্রমিক সংগঠনের সওয়ালকারী। সেই সময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মামলার বিরোধিতা করে বলেন, “যদি কোনও একজন ব্যক্তি বিচার চান তা হলে তার পরিবার আদালতে আসুক। সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে। এই ধরনের সংগঠন কেন আসছে? এদের নেপথ্যে রাজ্য সরকার রয়েছে।”

উল্লেখ্য, দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জাতীয় নিরাপত্তা, ঐক্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মাথায় রাখতে হবে পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব সীমান্ত নির্বিশেষে একই ভাষা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বহন করে আসছে। কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাষা বলার জন্য কাউকে বিদেশি বলে সন্দেহ করা ঠিক নয়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছে এই ভিত্তিতে সাত দিনের ডেডলাইন বেঁধে হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি, কাউকে দেশ থেকে বার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়মাবলী রয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। এছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টকে দ্রুত সোনালি বিবির মামলা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।