নয়া দিল্লি: হিজাব নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে অনেক। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে হিজাব পরা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি কলেজ সার্কুলার জারি করে বলা হয়, হিজাব পরে কলেজে যেতে পারবেন না পড়ুয়ারা। সেই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি।
এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেছে, ‘আপনারা কি মহিলাদের টিপ বা তিলক পরতে নিষেধ করেন?’ কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি হল, কারও ধর্ম যাতে সামনে না আসে, তার জন্য এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি খান্না বলেন, “এটা কী? এমন কোনও নিয়ম জারি করবেন না।” কলেজের যেখানে যুক্তি হিজাব পরলেই ধর্ম প্রকাশ পাবে, নাহলে নয়, সেখানে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ওদের নামে ধর্ম প্রকাশ পাবে না? আপনারা কি ওদের নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করবেন?’
কলেজের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক ছাত্রী। সেই মামলায় এদিন অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কলেজের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী মাধবী দিওয়ান। তিনি বলেন, ‘৪৪১ জন কলেজ ছাত্রীর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না, শুধুমাত্র কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীই অসুবিধার কথা বলেছে।’ বিচারপতি কুমার প্রশ্ন করেন, ‘একজন মহিলার কী পরবে, তা নিয়ে কি তার নিজের কোনও মতামত থাকবে না?’
কলেজের দাবি, মুখ ঢাকা থাকলে কথা বলতে অসুবিধা হয়। এই যুক্তিতে অবশ্য মান্যতা দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, মুখ ঢাকা কোনও পোশাক পরে ক্লাসে যাওয়া যাবে না।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)