নয়া দিল্লি: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে, সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তবে তাঁর দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর একটি এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে সম্প্রতি। শুভেন্দুর একটি ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায়। শীর্ষ আদালতে আগামী ৪ অগস্ট রয়েছে শুভেন্দুর মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে সওয়াল করবেন আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ। আইনজীবী জানিয়েছেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলি থেকে অব্যাহতি চান তিনি। আইনজীবী দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, এক সপ্তাহ একটু বেশি সময় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল মোহনপুর থানার রামপুরা এলাকায়। অভিযোগ ওঠে, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর প্ররোচণাতেই ওই কাজ করা হয়েছিল। হাইকোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর মোহনপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআরে সম্মতি দিলেও সতর্ক করেছিল যাতে হেনস্থা করার জন্য কোনও এফআইআর করা না হয়। তবে গ্রেফতার করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দিয়েছিল শুভেন্দুকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ২৬টি এফআইআর-এর ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, মামলা আবার ফেরানো হয় হাইকোর্টেই।