IAS aspirant Tanya Soni: চোখে IAS হওয়ার প্রতিজ্ঞা, সঙ্গী নাচ-কবিতা, এক বৃষ্টিই কেড়ে নিল তানিয়ার স্বপ্ন

Jul 29, 2024 | 3:06 PM

IAS aspirant Tanya Soni: তানিয়ার ঠাকুরদা বলেন, পরিবারের সবচেয়ে বুদ্ধিমতী ছিলেন তাঁর নাতনি। তানিয়ার তুতো ভাই অঙ্কিত বলেন, "আমাদের সবার মধ্যে পড়াশোনায় ভাল ছিল। কবিতা ভালবাসত। নাচতে ভালবাসত। কলেজে অনুষ্ঠানে অংশ নিত।"

IAS aspirant Tanya Soni: চোখে IAS হওয়ার প্রতিজ্ঞা, সঙ্গী নাচ-কবিতা, এক বৃষ্টিই কেড়ে নিল তানিয়ার স্বপ্ন
ছোটবেলা থেকেই IAS হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তানিয়া সোনি

Follow Us

নয়াদিল্লি: দু’চোখে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন। একইসঙ্গে নিজের ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখা। সেই ভালবাসা হল নাচ, কবিতা। নাচ-কবিতার মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতেন। ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু, স্বপ্ন পূরণের আগেই সব শেষ। দিল্লিতে আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢুকে যে তিনজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তার একজন তানিয়া সোনি। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সেই থেমে গেল স্বপ্ন পূরণের দৌড়।

তানিয়ার আদি বাড়ি বিহারের ঔরঙ্গাবাদে। তবে গত ২৫ বছর ধরে তেলঙ্গানার একটি সংস্থায় কাজ করেন তাঁর বাবা বিজয় সোনি। তানিয়ারা দুই বোন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে দিল্লি পাড়ি দেন তানিয়া। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহারাজা অগ্রসেন কলেজে পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সেই কলেজ থেকেই স্নাতক হন। তাঁর বান্ধবীরা বলছেন, কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতে তানিয়া। ভাল বাসতেন কবিতা।

শনিবার দুর্ঘটনার সময় উত্তর প্রদেশের লখনউ যাচ্ছিল তানিয়ার পরিবার। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই নাগপুরে নেমে পড়েন। তারপর বিমানে দিল্লি আসেন। তানিয়ার বাবা বলেন, ছোটবেলা থেকে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন দেখত তানিয়া। বড় হয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম শুরু করেন।

তানিয়ার দেহ বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শেষকৃত্যের জন্য। সেখানে তাঁর পরিজনরা থাকেন। তানিয়ার মৃত্যু খবর পেয়ে শোকে মুহ্যমান তাঁরা। তানিয়ার ঠাকুরদা বলেন, পরিবারের সবচেয়ে বুদ্ধিমতী ছিলেন তাঁর নাতনি। তানিয়ার তুতো ভাই অঙ্কিত বলেন, “আমাদের সবার মধ্যে পড়াশোনায় ভাল ছিল। কবিতা ভালবাসত। নাচতে ভালবাসত। কলেজে অনুষ্ঠানে অংশ নিত।”

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজেন্দ্র নগরে ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢোকে। সেইসময় জনা কুড়ি আইএএস পড়ুয়া বেসমেন্টে কোচিং সেন্টারের গ্রন্থাগারের পড়াশোনা করছিলেন। বাকিরা বেরিয়ে আসতে পারলেও তানিয়া-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কোচিং সেন্টারের মালিক-সহ মোট ৭ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Next Article