সংসদে রাহুল গান্ধী
Image Credit source: Sansad TV
পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হওয়ার পর লোকসভায় ফের কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কৃষক থেকে যুব সম্প্রদায় বা মধ্যবিত্তদের জন্য বাজেটে কোনও ঘোষণা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ এদিন শুরুতেই বলেন, ‘দেশ জুড়ে চক্রব্যুহ তৈরি করা হয়েছে, যা ব্যুহের কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে ৬ জন।’ তাঁর বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় সংসদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
আর কী কী বললেন রাহুল গান্ধী, একনজরে-
- “দেশ জুড়ে চক্রব্যুহ তৈরি করা হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি চক্রব্যুহ নাকি পদ্মের মতো দেখতে ছিল। সেখানে অভিমন্যুকে মারা হয়েছিল। আর এখানে অভিমন্যু হলেন দেশের কৃষক, যুব সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।”
- অভিমন্যুকে ৬ জন মিলে মেরেছিল অভিমন্যুকে। আজও ৬ জনই কেন্দ্রে আছে। তারাই চক্রব্যুহটা কন্ট্রোল করে।
- রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, চক্রব্যুহের পিছনে আছে তিনটি ফোর্স। প্রথম- ২ জনের হাতে থাকবে দেশের সব সম্পত্তি। আর্থিক ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকবে কারও কারও হাতে। দ্বিতীয়- এজেন্সি অর্থাৎ সিবিআই, ইডি ও আয়কর দফতরের সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তৃতীয়টি হল পলিটিক্যাল এক্সিকিউটিভ।
- রাহুল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম বাজেট এই চক্রব্যুহকে দুর্বল করে দেবে। কৃষক, শ্রমিকদের সাহায্য করবে ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখলাম বড় ব্যবসায়ীরাই লাভবান হয়েছে। চক্রব্যুহ আরও পোক্ত হয়েছে।” তাঁর দাবি, গোটা দেশে ট্যাক্স টেররিজম চলছে। ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে রাতে ফোন আসে ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে।
- ‘শিক্ষা বাজেটে মাত্র ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে’, এ কথা বলে বাজেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী।
- প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, “মধ্যবিত্তরা আগে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করতেন। কোভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী থালা বাজাতে বলেছিলেন, মধ্যবিত্তরা থালা বাজিয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের আলো জ্বালাতে বলেছিলেন, সেই আলোও জ্বালানো হয়েছিল। আর বাজেটে সেই মধ্যবিত্তের পিঠে, বুকে ছুরি মারা হয়েছে।”
- রাহুল বলেন, ‘চক্রব্যুহের জন্য কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এটা ভাঙবই। লিগাল এমএসপি এই ভবনে পাশ হবেই। ইন্ডিয়া জোট এটা করে দেখাবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতি জনগণনা হলে চক্রব্যুহ ভেঙে যাবে, ইন্ডিয়া জোট সেটা করে দেখাবে।’
- রাহুলের বক্তব্যের ধরণ নিয়ে আপত্তি জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি বলেন, ‘স্পিকারকে কখনও চ্যালেঞ্জ করা যায় না। বিরোধী দলনেতা সংসদের গরিমা প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাচ্ছেন।’