বেরিলি: তরুণীকে অপহরণ (Kidnapped) করে টানা ৫ দিন ধরে চলল চলল গণধর্ষণ (Gangrape)। তরুণীকে মাদক খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করেই ৩ যুবক মিলে ধরে তাঁকে লাগাতার গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে আবার একজন তরুণীর বন্ধু। ৫ দিন পর অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্তি মেলে তরুণীর। ন্যক্করজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কাশীপুরে। যদিও তরুণী আদতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা। তাঁকে অপহরণ করে উত্তরাখণ্ডে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ১৭ বছরের নির্যাতিতা তরুণী আদতে উত্তরপ্রদেশের বেরিলির বাসিন্দা। গত ৬ জুন তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর ১২ জুন, সোমবার উত্তরাখণ্ডের কাশীপুর থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। গত ৫ দিন ধরে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৩ অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সি নাদিম কুরেশি, ৩০ বছর বয়সি ইরফান ওরফে বাবু এবং ৫০ বছরের প্রৌঢ় শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক হরেন্দ্র সিং।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গত ৬ জুন তিনি বাড়ির কাছে একটি টেলারিং দোকানে জামা নিতে বেরিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই নাদিম কুরেশি, ইরফান ও শাহ আলম মিলে তাঁকে অপহরণ করে। এদিকে, তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পরই থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর দাদা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তারপর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তরুণীর মোবাইল ট্র্যাক করেই উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরে তাঁর হদিশ মেলে।
উদ্ধার হওয়ার পর নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তারপর তাঁকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে তিনজন মিলে ৫ দিন ধরে লাগাতার গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তরুণীর। অভিযুক্তরা সারাক্ষণ তাঁকে মাদক খাইয়ে রাখত এবং হুঁশ ফিরলেই হুমকি দিত বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তরুণীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্ত ৩ জনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত শাহ আলম পুলিশকে জানিয়েছে, সে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল। সেজন্যই তাকে অপহরণ করেছে। পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, আলমের বিরদ্ধে খুন সহ ৫টি অপরাধমূলক মামলা রয়েছে।