গুরুগ্রাম: গৃহস্থলীর কাজে নিযুক্ত কিশোরীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল গৃহকর্ত্রী এবং তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে। ১৩ বছরের ওই নাবালিকাকে প্রায়শই মারধর করা হত বলে অভিযোগ। এমনকি গৃহকর্ত্রীর দুই ছেলে কিশোরীরে নগ্ন করে রেখে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে। তাঁকে কুকুর দিয়ে কামড়ও দেওয়া করানো হয়েছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭তে। শনিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতার মা ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। নির্যাতিতাকেও অভিযুক্তদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কিশোরীর মা পুলিশে করা অভিযোগে জানিয়েছেন, মেয়েটি যে বাড়িতে কাজ করত সেখানে তাকে প্রায়শই লোহার রড়, হাতুড়ি করে মারধর করা হত। সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রীর দুই ছেলে কিশোরীকে নগ্ন করে তার শরীরের হাত বোতালেন। নগ্ন অবস্থায় কিশোরীর ছবি তুলতেন। এমনকি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখার অভিযোগও উঠেছে। মুখে টেপ বেঁধে কিশোরীকে ঘরে আটকে রাখা হত বলে অভিযোগ। কিশোরীর মা জানিয়েছেন, তিনি ফোন করলেও তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হত না। এ কথা কাউকে যাতে না বলে তার হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী কিশোরীর হাতে অ্যাসিডও ঢেলেছিলেন।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাড়ি বিহারে। গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭তে এক মহিলার বাড়িতে এ বছর জুন মাস থেকে কাজে লেগেছিল ওই কিশোরী। তার মা গুরুগ্রামের অন্য একটি এলাকায় কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ, থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার শর্তে কাজে লেগেছিল ওই কিশোরী। কিন্তু প্রথম ২ মাস বেতনের টাকা পেলেও পরে আর তা পাননি বলে অভিযোগ। যে ব্যক্তি এই কাজ ঠিক করে দিয়েছিলেন তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গুরুগ্রামের বাড়িতে আসেন নির্যাতিতার মা। এর পরই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে গুরুগ্রামের একটি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।