হায়দরাবাদ: আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক ও বিরোধী দল। প্রতিবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার কাজে নামে কংগ্রেস। তবে এবার শেষ মুহূর্তে এসে বদলে গেল চিত্রটা। কংগ্রেস নয়, সমমনস্ক দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টায় ব্যস্ত তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাও। আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কেসিআর।
সূত্রের খবর, অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ফোনে কথা বলেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পওয়ার। কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ চালাচ্ছে, এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই যাতে বাদল অধিবেশনে সরকারকে আক্রমণ করা হয়, তার আর্জি জানিয়েছেন কেসিআর।
শুধুমাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বা কেজরীবালই নন, বিহারের আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন তিনি। তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সঙ্গেও তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিরোধী নেতারাও কেসিআরের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই তিনি বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের ফোন করেছিলেন। তাদের সকলকেই একজোট হয়ে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারকে সমর্থন জানালেও, চলতি বছরের শুরু থেকে উল্টো সুর গাইছেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সভাপতি। একাধিক ইস্য়ু নিয়ে বারংবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেশের দুর্বলতম ও অদক্ষ প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেন। সম্পর্কে তিক্ততা এতটাই বেড়েছে যে, একের পর এক সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য়ে এলেও তাঁকে স্বাগত জানাতে যাননি কেসিআর।
এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়েই মতবিরোধ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির। সেক্ষেত্রে বিরোধী জোটের প্রধান হিসাবে কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে অন্য় দলকে জায়গা দিতে তাদের কোনও সমস্যা থাকবে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।