নয়া দিল্লি: সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে আজ, রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ ৭ বছর পর মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখোমুখি আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই বৈঠকে অংশ নেবেন না তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ইতিমধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এই বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। কেন্দ্রের বিরোধিতা করে কেসিআর এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না যেমন, তেমনই নীতীশ কুমার যদি এই বৈঠক এড়িয়ে যান, তবে বিজেপি-জেডি(ইউ) জোটে ফাটলের তত্ত্বই আরও জোরাল হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই নীতি আয়োগ তৈরি করা হলেও, কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যগুলির মতামত নেয় না। কেবলমাত্র দেশের একটি প্রান্তেই উন্নয়ন হচ্ছে, এই অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে এটি বাধা হয়ে উঠবে বলে তিনি জাানান।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে আসার জন্যই অতি তৎপর হয়ে উঠেছেন কেসিআর। একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি। নিজের কট্টর কেন্দ্র বিরোধী অবস্থান বজায় রাখতেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তবে বাকি বিরোধী দল শাসিত রাজ্য, যেমন তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।
অন্য়দিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও নীতি আয়োগের এই বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। যদি তিনি এই বৈঠকেও অংশ না নেন, তবে চলতি মাসে এই নিয়ে তিনি বড় বড় দুটি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানের অংশ হবেন না। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার আগে রামনাথ কোবিন্দের বিদায়ী সংবর্ধনা ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি তিনি।
যেখানে ২০২৪ সালেও এনডিএ-জেডিইউ জোট বজায় থাকার কথা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, সেখানেই নীতীশ কুমারের একের পর এক বৈঠক এড়ানো ভাঙনের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান প্রসঙ্গে বিহার সরকারের তরফে কোনও তথ্য জানানো না হলেও, ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সদ্য করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই আপাতত যাতায়াত এড়িয়ে চলছেন তিনি। তবে প্রতি মাসের মতো আগামী সোমবারও ‘জনতা কি দরবার মে মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন নীতীশ কুমার।
অন্য়দিকে, কাটছাঁট হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে। আজই দিল্লি থেকে ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠকের পরই তিনি সরাসরি বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবেন। দিল্লি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরার কথা ছিল আগামী ৮ অগস্ট, সোমবার।