হায়দরাবাদ : হায়দরাবাদ গণধর্ষণের রেশ এখনও কাটেনি। এই মামলায় চার অভিযুক্তই নাবালক। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এই অভিযুক্তদের নাবালক নয় বরং প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দেখা উচিত আদালতের। আর এদিকে তেলঙ্গনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলির নজরে এই ঘটনায় ‘মূল দোষী’ মোবাইল ফোন! পাশাপাশি তাঁর কথায় এই ধরনের ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের মা-বাবাও সমান দোষী। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষজন আজকাল বেশি ফোন ব্যবহার করেন আর তাই তাঁদের সন্তানরা বিগড়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘এটা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। আমি সকল অভিভাবকদের কাছে তাঁদের সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে চাই। শিশুরা যদি অবাধে ঘুরে বেড়ায় তবে তাদের থামানো কঠিন হবে।’ এদিকে তেলঙ্গনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন যে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ মামলার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা হবে। মন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি বলেন, ‘পুলিশের কাছে কোনও বন্ধু, আত্মীয় বা শত্রু নেই। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে পুলিশের কাছে সবাই সমান।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে হয়দরাবাদে একটি ১৭ বছর বয়সি নাবালিকাকে একটি গাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। হায়দরাবাদের জুবলি হিলস এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় মোট ছয় অভিযুক্তের চারজনই নাবালক। অভিযুক্তদের সবাই কোনও না কোনও ভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নেতার আত্মীয় বা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয়। এমনকি সেই রাজ্যের শাসক দল টিআরএস-এরও নাম উঠে এসেছে এই মামলায়। এদিকে জুবিলি হিলের ঘটনা ছাড়াও গত এক সপ্তাহে হায়দরাবাদে মোট পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে নির্যাতিতা একজন নাবালিকা। এই ধারাবাহিক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় শাসকদল টিআরএস-এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ ধর্মপুরী বুধবার রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং মন্ত্রী কেটি রামা রাওয়ের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায় ‘তাঁরা ধর্ষণকে প্রচার করছে কিনা তা জিজ্ঞাস্য।’