নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েক মাসে বারংবার মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। মাথা পিছু আয় কমা, সঞ্চয় কমা নিয়েও তারা সরব। অথচ, ভারতে ক্রমে বেড়েই চলেছে কোটিপতির সংখ্যা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে, তা বলছে, বছরে ১ কোটি টাকার উপরে উপার্জন করেন, এমন লোকের সংখ্যা ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ২.১৬ লক্ষ (আনুমানিক) হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১.৮৭ লক্ষ, আর ২০১৯-২০’তে ১.০৯ লক্ষ। এই পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার, কীভাবে ভারতে বছর বছর বেড়ে চলেছে কোটিপতির সংখ্যা। এটা, আয় বৃদ্ধির লক্ষণ বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, সংসদে জানিয়েছেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। তবে, শুধুমাত্র ব্যবসা করেই কোটিপতি হননি ভারতীয়রা। সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, চাকরি করে কোটিপতি হয়েছেন, এমন লোকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে চাকুরিজীবী কোটিপতির সংখ্যা ছিল ১০,৫২৮। সেখানে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই শ্রেণির লোকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২,২১৮। কাজেই, যারা বেতনভুক, তাঁদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। চাকরি করেও যে কোটিপতি হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন এই ১২,০০০ মানুষ। কোটিপতি চাকুরিজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি আর্থিক বৃদ্ধিরই প্রতিফলন।
অন্যদিকে, একটি পৃথক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য, অর্থাৎ, ২০২৪-এর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “করের হার কমানো এবং অন্যান্য পদক্ষেপের ফলে মানুষের কর প্রদানের সদিচ্ছা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলেই কর সংগ্রহের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।