দিসপুর: শুক্রবার অরুণাচলপ্রদেশের আপার সিয়াং জেলায় ভেঙে পড়েছিল সেনার হেলিকপ্টার। সেই কপ্টারে উপস্থিত সকল সেনাই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গতকালই এই কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল চার সেনার। কপ্টার ভেঙে পড়ার পরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এদিকে তল্লাশি চালিয়ে শনিবার পঞ্চম সেনার দেহের খোঁজ মিলেছে। এবার এই ঘটনায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়াজনিত কোনও কারণ নয়। দুর্ঘটনার কিছু আগেই প্রযুক্তিগত ত্রুটি দখা গিয়েছিল কপ্টারে।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কপ্টার ভেঙে যাওয়ার ঠিক আগেই ‘মে ডে’ কল পেয়েছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)। কোনও এয়ারক্রাফ্ট বিপন্ন অবস্থায় পড়লে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের গ্রাউন্ড কর্মীর কাছে ওই এয়ারক্রাফ্টের ক্রুরা ইঙ্গিত দিলে তাকে ‘মে ডে’ বলা হয়। সেই কলেই ক্রু-র তরফে জানানো হয়েছিল, কপ্টারে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, আবহাওয়া পুরো পরিষ্কার ছিল এবং পাইলটরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিলেন। তবে খাড়া পার্বত্য অঞ্চল ও ঘন অঞ্চলের কারণে’খুব চ্যালেঞ্জিং’ ছিল। কপ্টার দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকাল ১০ টা ৪০ মিনিট নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের সিংগিং গ্রামের কাছে সেনা কপ্টার ভেঙে পড়ে। গতকালই চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালু ছিল। গতকাল একটি Mi-17 ও দুটি ধ্রুব হেলিকপ্টার নিয়োজিত ছিল তল্লাশি অভিযানে। সেনা ও বায়ুসেনার তিনটি যৌথ বাহিনী এই উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে। আর এদিন ওই কপ্টারের শেষ যাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।