Government School: এ যেন এক এক্কে এক! একজন শিক্ষক, একজনই ছাত্র, তার জন্য আবার মিড ডে মিলও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 23, 2023 | 12:28 PM

Maharashtra School: তবে একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি কার্তিক সেগোকারকে (৮)। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। সেখানে তাঁকে পড়ান একজন শিক্ষক।

Government School: এ যেন এক এক্কে এক! একজন শিক্ষক, একজনই ছাত্র, তার জন্য আবার মিড ডে মিলও
একজন পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে স্কুল। ছবি টুইটার

Follow Us

মুম্বই: কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে সব সম্ভব। আর কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য চেষ্টার যে কদর রয়েছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল একটি স্কুল ও তার পড়ুয়ার মাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল শিক্ষা (School Education) নিয়ে হাজারো অভিযোগ রয়েছে। কোথাও পর্যাপ্ত সংখ্যক পড়ুয়া নেই, কোথাও আবার পডুয়া থাকলেও অভাব রয়েছে শিক্ষকের। সেখানেই দেশের এক প্রান্তে এমনও একটি স্কুল (School) রয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার (Student) সংখ্যা মাত্র ১। একজন পড়ুয়াকে পড়ানোর জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। তিনিই ওই পড়ুয়াকে সমস্ত বিষয় পড়ান। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, এটাই সত্যি। এই স্কুলটি রয়েছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি গ্রামে। সেখানে একজন পড়ুয়ার জন্যই চালু রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার সবথেকে ছোট গ্রাম হল গণেশপুর। এই গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ২০০। গ্রামে রয়েছে একটিই জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। কিন্তু যেখানে গ্রামের জনসংখ্যাই ২০০, সেখানে খুদে পড়ুয়া আর ক’জন থাকবে! আপাতত গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া রয়েছে একজনই।

তবে একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি কার্তিক সেগোকারকে (৮)। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। সেখানে তাঁকে পড়ান একজন শিক্ষক। একটি স্কুলে যা যা নিয়ম পালন করা হয়, তা সমস্ত কিছুই অনুসরণ করা হয় এই স্কুলে। সকালে স্কুল শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, এরপরে প্রার্থনার পর ঘড়ি ধরে ক্লাস শুরু হয়।

জানা গিয়েছে, কার্তিক নামে ওই পড়ুয়া বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাঁকে যিনি পড়ান, তাঁর নাম কিশোর মানকর। ওই শিক্ষক রোজ ১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে স্কুলে আসেন শুধুমাত্র কার্তিককে পড়াতে। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, বিগত দুই বছর ধরে স্কুলের একমাত্র পড়ুয়া কার্তিক। গ্রামে তাঁর বয়সী অন্য কোনও নাবালক না থাকায়, তাঁকেই স্কুলে একা সমস্ত বিষয় পড়ান তিনি। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাও হয়।

জানা গিয়েছে, একজন পড়ুয়া হলেও গ্রামের ওই স্কুলে যাবতীয় সরকারি পরিষেবাই পাওয়া যায়। এমনকী কার্তিকের জন্য  মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও রয়েছে।

Next Article