AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমিই আসল স্ত্রী’-‘না না আমিই আসল’, তিনজনের হাতে ধরা ডেথ সার্টিফিকেট, পাগল হওয়ার জোগাড় অফিসারদের

প্রথম মহিলার নথি দেখার পরে, নয়ডা প্রশাসন লক্ষ্য করে মহিলার জমা দেওয়া বিয়ের শংসাপত্রটি অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের মৃত্যুর ঠিক চারদিন আগের। অর্থাৎ ৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখের। এ পর্যন্ত তাও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।

'আমিই আসল স্ত্রী'-'না না আমিই আসল', তিনজনের হাতে ধরা ডেথ সার্টিফিকেট, পাগল হওয়ার জোগাড় অফিসারদের
প্রতীকী ছবিImage Credit: Meta AI
| Updated on: Dec 25, 2024 | 11:49 PM
Share

নয়ডা: কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে চলে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। আর তারপরই ঘটছে অদ্ভুত ঘটনা। এক একজন মহিলা যাচ্ছেন, আর দাবি করছেন তিনিই আসল স্ত্রী, সম্পত্তিতে তাঁরই অধিকার রয়েছে। এমনকী প্রত্যেকের কাছেই আছে প্রমাণ। আছে বিয়ের শংসাপত্র, আছে ওই ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেটও। কী করবেন বুঝেই উঠতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসাররা।

উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার ঘটনা। তিনজন মহিলাই মৃত ব্যক্তিকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিচ্ছেন। সবাই বলছেন যে তিনিই আসল স্ত্রী, তাই তাঁরই সম্পত্তিতে অধিকার আছে। আপাতত কাউকেই সম্পত্তি হস্তান্তর করা হচ্ছে না।

অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার হরিশঙ্কর মিশ্র একজন পিসিএস অফিসার ছিলেন। পরে পদোন্নতির ফলে আইএএস হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। গত ১১ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের মৃত্যুর পর মাত্র এক মাস পেরিয়েছে, তখন এক মহিলা নয়ডা প্রশাসনের কাছে গিয়ে জানান তাঁর নাম শিবা শিখা। তিনি জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের স্ত্রী। বিয়ে ও মৃত্যুর নথিও দেখান তিনি। সম্পত্তি হস্তান্তরের আবেদন করেন।

নথিটি দেখার পরে, নয়ডা প্রশাসন লক্ষ্য করে মহিলার জমা দেওয়া বিয়ের শংসাপত্রটি অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের মৃত্যুর ঠিক চারদিন আগের। অর্থাৎ ৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখের। এ পর্যন্ত তাও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর, অন্য একজন মহিলা হাজির হন। মৃত অফিসারের সম্পত্তি দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, ২৭ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে।

আশ্চর্যের বিষয় হল আর এক মহিলাও ওই অফিসে পৌঁছে গেলেন। তিনি নিজেকে একজন মৃত অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের মেয়ে বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি, ওই অফিসারের আসল স্ত্রী কুশীনগরে থাকেন। তিনি অসুস্থ থাকায় অফিসে আসতে পারেননি। তাঁর কাছ থেকে কাগজপত্র চাওয়া হলে তিনি সবার সামনে বিয়ের সার্টিফিকেট ও ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেন। এটা দেখে সবাই অবাক। প্রশ্ন হল, কে আসল আর কে নকল। আপাতত অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-এর সম্পত্তি হস্তান্তর করা হচ্ছে না কাউকেই।