আগরতলা: গত কয়েক মাস ধরে ধরে ত্রিপুরায় (Tripura) নিয়মিত যাতায়াত করেছেন তৃণমূল নেতারা। অনেক সময় অনেক বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। তবে ২০২৩-এর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে কোনও খামতি রাখতে চায় না দলীয় নেতৃত্ব। এতদিন ধরে বহু নেতা-নেত্রীকে য়েতে দেখা দিয়েছে আগরতলায় (Agartala)। ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে সংঘাতও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই ত্রিপুরার জন্য স্টিয়ারিং কমিটি গড়ল তৃণমূল (TMC)। সুবল ভৌমিক (Subal Bhowmik), সুস্মিতা দেব (Susmita Deb) সহ মোট ১৯ জন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার তৃণমূলের তরফ থেকে এসেই স্টিয়ারিং কমিটি তৈরির বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় স্টেট কনভেনার হিসেবে নাম রয়েছে সুবল ভৌমিকের। এছাড়া সুস্মিতা দেবের কোনও বিশেষ পদ না থাকলেও তিনি সেই কমিটিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তা স্পষ্ট। এই কমিটিতে একদিকে যেমন নবীণ ও প্রবীণ নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, তেমনই গত কয়েক মাস ধরে ত্রিপুরায় যারা লড়াই করছেন সেই সব নেতা-নেত্রীদেরও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিক ছাড়া এই কমিটিতে রয়েছেন প্রকাশ চন্দ্র দাস, আশিস লাল সিং, কৃষ্ণ নাথ, ডক্টর দেবব্রত রায়, আব্দুল বসিত খান, ত্রিদীব দত্ত, শম্পা দাস, কল্পা মোহন ত্রিপুরা, মামুন খান, নীলকান্ত সিনহা, শর্মিষ্ঠা সরকার, রবি চৌধুরী, শিবানী সেনগুপ্তা, ইদ্রিস মিঞা, অঞ্জন চক্রবর্তী, অনিতা দাস ও মলিন জামাতিয়া।
বাংলায় একুশের ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে পর ত্রিপুরায় সাম্রাজ্য বিস্তারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে বাধা দিচ্ছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। ত্রিপুরায় গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। একাধিকবার আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার। এরই মধ্যে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের কাছে আসছে একের পর এক নোটিস। হাজিরা দিতে বলা হচ্ছে ত্রিপুরায়। প্রথমে ১৬, পরে ১৭ ও তারপর ২২ তারিখে সভার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু যতবারই কর্মসূচির আবেদন জানানো হয়, পুলিশ নাকচ করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতে যথারীতি ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এরই মধ্যে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমিতি উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিপ্লব দেব সরকার। করোনা পরিস্থিতির জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বিজেপি নেতৃত্ব সভা করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, মহালয়ার দিন অর্থাৎ, বুধবারই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বিপ্লব দেব সরকারের এই সদস্য। আর তা হলে, তিনিই হতে চলেছেন ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি বিধায়ক, যিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। মঙ্গলবার কালীঘাটে পুজো দিয়ে মাথা ন্যাড়া হয়ে আদি গঙ্গায় ডুব দিয়ে ত্রিপুরার সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তিনি ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করলেন।
আর পড়ুন: Lakhimpur Violence: রাহুলের সফরের জের, ১২ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হল সীতাপুরে