নয়া দিল্লি: আগের থেকে বেশ খানিকটা ওজন ঝরেছে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। সে কথা চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন। তবে শরীর ভাল নেই এ কথা কেষ্ট বারেবারে বলেছেন। শুধু তাই নয়, শরীরিক অবস্থা দর্শিয়ে জামিনও পেতে চেয়েছেন। কিন্তু হয়নি। মঙ্গলবারও জামিন খারিজ হয়ে যায় তাঁর। সূত্রের খবর, আজও অনুব্রত নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বারেবারে পায়ে ব্যথার কথা বলেন।
এ দিন,আইনজীবীদের জানান, তাঁর পায়ের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। ডান দিকের পায়ে ব্যথা। যার জেরে পা ক্রমশ রোগা হয়ে যাচ্ছে। আজও হুইলচেয়ারে বসেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরা দেন তিনি। তবে, শুধু অনুব্রত নয়, এ দিন কোর্টরুমে হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে এসেছিল গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। জেলেই আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। সেই ব্য়থা যে কমেনি তা ব্যান্ডেজ দেখেই বলা চলে।
তবে আজ কোর্টরুমে ঘটে গেল অন্য ঘটনা। এ দিন আদালতের ভিতরে অনুব্রত একসময়ের তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে কেষ্টর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন সদ্য জামিন প্রাপ্ত মণীশ। ফলত, প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে, তাহলে কি এবার অনুব্রতর থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।
কারণ, সদ্যই গরুপাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন মণীশ। কিন্তু বারংবার আবেদন করেও জমিন পাননি কেষ্ট, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং সায়গল হোসেন। বারেবারে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁরা। তবে তা খারিজ করে দেয় আদালত। আজও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডল, সুকন্যা মণ্ডল, সায়গল হোসেনের জামিন খারিজ করে। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁদের।