ভোপাল: মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনার অধীনে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। মধ্য প্রদেশের জনজাতি অধ্যুষিত গদসরাই এলাকায় শনিবার এই বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনে ও বরের সাজে অপেক্ষা করছিলেন প্রায় ২১৯ জন যুগল। চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষায়। জীবনে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকে প্রায় সকলেই। এক থেকে দুই হওয়ার পালা। এই শুভক্ষণের আগেই তাঁদের কঠোর অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে কনেদের প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়েছে।
প্রেগন্যান্সি টেস্টের পর কয়েকজন মহিলার রিপোর্ট পজিটিভও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তাই গণবিবাহ অনুষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার প্রতি দম্পতিকে ৫৫,০০০ টাকা অনুদান দেয়। যার মধ্যে ৪৯,০০০ টাকা নববধূকে দেওয়া হয় এবং ৬,০০০ টাকা গণবিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এবার ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কনে জানিয়েছেন, ফর্ম পূরণ করার পর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং প্রেগন্যান্সি টেস্টও করা হয়। তাঁর অভিযোগ,পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পর তাঁর নাম বিয়ের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
দিনোদোরির চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডাঃ রমেশ মারাভি বলেন, “আমরা যে নির্দেশ পেয়েছি (গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার বিষয়ে) তা অনুসরণ করা হয়েছে।” এই ঘটনায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই পদক্ষেপকে মহিলাদের জন্য ‘অসম্মানজনক’ ও ‘অপমানজনক’ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এদিকে দিনদোরির কালেক্টর বিকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, গণবিবাহের আগে অংশগ্রহণকারীদের সিকেল সেল (রক্তাল্পতা) পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যে চারজন মহিলা গর্ভবতী বলে প্রমাণিত হয়েছিল, তাঁদের গণবিবাহে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।” এদিকে দিনদোরির বিজেপির জেলা সভাপতি অধরাজ বিলাইয়া জানিয়েছেন, এর আগে গণবিবাহে অংশগ্রহণকারী কনেদের মধ্যে কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাই এই পরীক্ষা করানো যুক্তিযুক্ত।