নয়া দিল্লি: ক্ষমতায় আসার পর দেশকে আবর্জনামুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুরু হয় ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ (Swachh Bharat Mission)। এরপর সাত বছর কেটে গিয়েছে। জমতে থাকা আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। এবার দ্বিতীব পর্ব শুরু হচ্ছে সেই ‘স্বচ্ছ ভারত’ মিশনের। আজ, শুক্রবার স্বচ্ছ ভারত মিশন ২.০ (Swachh Bharat Mission 2.0) সূচনা করলেন মোদী। সেই সঙ্গে জানালেন এবার নতুন করে কী কী লক্ষ্য স্থির করা হচ্ছে। মূলত শহরাঞ্চলকে আবর্জনা মুক্ত করতেই নয়া লক্ষ্যের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
শুধু স্বচ্ছ ভারত মিশন নয়, পাশাপাশি, ‘অটল মিশন ফর রেজুভেনেশন অ্যান্ড আর্বান ট্রান্সফর্মেশনেরও দ্বিতীয় পর্বের (AMRUT 2.0 mission) সূচনাও করলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘ড, ভীমরাও আম্বেদকরের স্বস্ন সত্যি করবে এই দুই উদ্যোগ। আর আজ আমাদের সৌভাগ্য যে সেই বিআর আম্বেদকর সেন্টার থেকে সূচনা করা হচ্ছে দুটি উদ্যোগের।’
মোদী জানান, শহরাঞ্চলকে আবর্জনা মুক্ত করতেই মূলত কাজ হবে স্বচ্ছ ভারতের দ্বিতীয় পর্বে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, নদীতে যাতে নর্দমার নোংরা জল না মেশে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, শহরগুলি থেকে আবর্জনাত স্তূপ যাতে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলা হয়, সে দিকেই লক্ষ্য থাকবে। তিনি জানান, বর্তমানে প্রত্যেকদিন ১ লক্ষ টন আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ হয় ভারতে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪ তে যখন ‘স্বচ্ছ ভারত’ উদ্যোগ প্রথম শুরু হয়, তখন মোট আবর্জনার ২০ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা হত। বর্তমানে ৭০ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। আগামিদিনে সেটাই ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বে শৌচাগার তৈরির ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে। যে সব পুর অঞ্চলে জনসংখ্যা এক লক্ষের কম, সেখানে যাতে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম না করা হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪-তে দেশবাসী ভারতকে খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন। ১০ কোটির বেশি শৌচাগার তৈরি করে দেশবাসী এই সংকল্প পূর্ণ করেছেন।’ তিনি বলেন, এবার স্বচ্ছ ভারত মিশন ২.০-তে লক্ষ্য আবর্জনা-মুক্ত শহর। জঞ্জাল-আবর্জনার স্তুপ থেকে শহরকে পুরোপুরি মুক্ত করতে হবে।
অন্যদিকে, অটল মিশন ফর রেজুভেনেশন অ্যান্ড আর্বান ট্রান্সফর্মেশনের দ্বিতীয় পর্বে সব বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য হবে কেন্দ্রের। ২,৭০০ পুর অঞ্চলে তৈরি করা হবে ২.৬৮ কোটি ট্যাপ তৈরি করে দেওয়া হবে। নিকাশি ব্যবস্থা যাতে ১০০ শতাংশ সঠিক হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। এই উদ্যোগের ফলে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী ১০.৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করেছেন মোদী।