নয়া দিল্লি: টুলকিট কাণ্ডে (Toolkit Case) গ্রেফতার হওয়া ২২ বছরের দিশা রবিকে (Disha Ravi) তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এ দিকে, শুক্রবারই টুলকিট কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। ২০১০- এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তৈরি মিডিয়া পলিসি মেনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে এমন আশঙ্কা করছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।
একইসঙ্গে এ দিন সংবাদমাধ্যমগুলিকে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সঠিক সূত্র থেকে খবর নিয়ে তবেই তা সম্প্রচার করা হয়। পরিবেশকর্মী দিশা গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বেশ কিছু ব্যক্তিগত চ্যাট সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হচ্ছিল। তা নিয়েই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন দিশা। সংবাদমাধ্যমগুলির এ ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া উচিৎ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আগেই তিনটি সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে বাধা আসতে পারে এমন কিছু যাতে সম্প্রচার যাতে না করা হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও সাংবাদিক বৈঠক না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। এই মামলার স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখেই পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সংবাদমধ্যমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টকে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল যে, দিশা রবির ব্যক্তিগত চ্যাট বা তদন্তের অন্য কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হয়নি। গ্রেফতার হওয়ার পরই দিশার ব্যক্তিগত চ্যাটের তথ্য বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, এর বিরুদ্ধেই দিশা সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন জানান। একইসঙ্গে তিনটি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তিগত চ্যাট প্রকাশের অভিযোগও আনেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন পরিশোধ-সহ একাধিক দাবিতে সরব সাফাইকর্মীরা, হাসপাতালে বন্ধ সাফাইয়ের কাজ
গত ৩ ফেব্রুয়ারি কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ একটি টুলকিট শেয়ার করেন। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, এই টুলকিট শেয়ারের মাধ্যমেই দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং খালিস্তানি আন্দোলনেও মদত দেওয়া হচ্ছে। এরপরই টুলকিট তৈরি ও শেয়ারের অভিযোগে গত রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে দিশা রবিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় নিকিতা জেকব ও শান্তনুর বিরুদ্ধেও। গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক হলেও পুলিশ সাফ জানিয়েছে যে দিশার ফোন থেকে যে তথ্য মিলেছে তাতে প্রমাণ হচ্ছে যে টুলকিট বানানোয় তাঁর হাত ছিল। অন্যদিকে, নিকিতা ও শান্তনুকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ চাইছে দিশা রবির সঙ্গে তাঁকে বসিয়ে জেরা করতে।